Advertisement

Madhyamgram Murder Case: বড়বাজার থেকে ট্রলি কিনে এনে বঁটিতে দেহ ৪ পিস করেছিল মা-মেয়ে

মঙ্গলবারই মধ্যমগ্রামে পুকুরে বঁটি, হাতুড়ি, রক্তমাখা শাড়ি সহ ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তোলা হয়েছে। ওই বঁটি দিয়েই সুমিতা ঘোষের দেহ পিস করেছিল দুজনে মিলে। কিন্তু খুন কীভাবে করেছিল?

মধ্যমগ্রাম খুন কাণ্ডমধ্যমগ্রাম খুন কাণ্ড
Aajtak Bangla
  • বারাসত,
  • 05 Mar 2025,
  • अपडेटेड 1:03 PM IST
  • দেহ রেখে বড়বাজারে ট্রলি কিনতে গিয়েছিল
  • বঁটি দিয়েই সুমিতা ঘোষের দেহ পিস করেছিল দুজনে মিলে
  • বঁটি এনে পা ও মুন্ডু কেটে ফেলে দেহকে ৪ টুকরো করে

মধ্যমগ্রামের মা ও মেয়ের কীর্তি নিয়ে যতই তথ্য একের পর সামনে আসছে, বোঝা যাচ্ছে, ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ কতটা নৃশংস! গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কলকাতায় কুমোরটুলি ঘাটে ট্রলিতে বন্দি দেহের টুকরো গঙ্গায় ফেলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়ে যায় মা ও মেয়ে। তদন্তে জানা যায়, পিসি শাশুড়িকে খুন করে দেহ পিস করে ব্যাগে ভরে ফেলে দিচ্ছিল। পুলিশের জেরায় এবার আরও ভয়াবহ তথ্য উঠে এল। দেহ নিয়ে ৪০ ঘণ্টা ধরে প্ল্যান করছিল দুজনে মিলে, কীভাবে গায়েব করা যায়।

দেহ রেখে বড়বাজারে ট্রলি কিনতে গিয়েছিল

পুলিশকে ফাল্গুনী ও আরতি জানিয়েছে, পিসি শাশুড়িকে খুন করে বাড়ির বারান্দায় দেহ রেখে বড়বাজারে ট্রলি কিনতে গিয়েছিল। খুনের কয়েকদিন আগে সুমিতা ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানের সমুদ্রগড়ে তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষের কাছে গিয়েছিল আরতি ও ফাল্গুনী। কিন্তু কেন তারা সুদীপ্ত ঘোষের কাছে গিয়েছিল, তা পুলিশকে ভাবাচ্ছে। রহস্য আরও দানা বাঁধছে।  

বঁটি দিয়েই সুমিতা ঘোষের দেহ পিস করেছিল দুজনে মিলে

মঙ্গলবারই মধ্যমগ্রামে পুকুরে বঁটি, হাতুড়ি, রক্তমাখা শাড়ি সহ ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তোলা হয়েছে। ওই বঁটি দিয়েই সুমিতা ঘোষের দেহ পিস করেছিল দুজনে মিলে। কিন্তু খুন কীভাবে করেছিল?  আরতি ঘোষ পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে, রবিবার সন্ধ্যায় সুমিতা ঘোষকে খুন করে মা ও মেয়ে। তারপর দেহ লোপাটের প্ল্যান কষতে শুরু করে। তারা দুজনে ঠিক করে, একটি ব্যাগে দেহ ভরে কোথাও একটা ফেলে দেবে।

বঁটি এনে পা ও মুন্ডু কেটে ফেলে দেহকে ৪ টুকরো করে

কিন্তু বাড়িতে যে ব্যাগ ছিল, সেই ব্যাগে গোটা দেহ ঢুকছিল না। দেহটি বারান্দার সরিয়ে রেখে দুজনে বেরিয়ে পড়ে। সোজা চলে যায় বড়বাজারে। সেখান থেকে ট্রলবি কিনে আনে। ট্রলিতে ভরার সময়েও দেখা যায় সুমিতা ঘোষের দেহের পা বেরিয়ে থাকছে। তখন তারা ঠিক করে বঁটি দিয়ে দেহ টুকরো করে ঢোকাবে। সেই মতো বঁটি এনে পা ও মুন্ডু কেটে ফেলে দেহকে ৪ টুকরো করে। তারপর ট্রলিতে ভরে দেয়। সোমবার রাতেই ওই বঁটি তার সঙ্গে একটি ছুরি যা দিয়ে দেহ কেটেছে পাশের পুকুরে ফেলে দেয় বলে তারা জানিয়েছে। মঙ্গলবার বটির সঙ্গে একটি দা ও ও হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় সুমিতা ও ফাল্গুনী কখনও বলছে দা তাদের, কখনও বলছে তা তাদের নয়।

Advertisement

মঙ্গলবার মা ও মেয়েকে বারাসতে মহিলা থানাতেই রাখা হয়েছিল। আজ অর্থাত্‍ বুধবার তাদের সারাদিন জেরা করা হচ্ছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement