স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে স্ত্রীর কাছে ফোন নেই। প্রতিবেশীর ফোনে খোঁজ নেন পরিবারের কুশল সংবাদ। এটাই যে কাল হবে ভাবতে পারেননি গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী। জীবনটাই তছনছ হয়ে গিয়েছে বধূর।
স্বামী ফোন এসেছে বলে ডেকে নিয়ে যায়
স্বামীর ফোন এসেছে বলে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন রোজকার ফোন আসা প্রতিবেশী। সেই যে সুযোগ বুঝে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করবে কীভাবে বুঝবেন বধূ! এমনই অভিযোগ ওঠার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। অভিযুক্ত যুবক সেখানে আসেনি। এমনকী ওই নির্যাতিতা বধূকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়ে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার সাহাপুর অঞ্চলের চর কাদিরপুর এলাকায়।
একাই থাকতেন বধূ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর স্বামী ভিন রাজ্যের কাজ করেন। মালদার সাহাপুর অঞ্চলের চর কাদিরপুর এলাকায় বাড়িতে একাই থাকতেন স্ত্রী। গৃহবধূর অভিযোগ, প্রতিবেশী ললিত মন্ডল বেশ কয়েকদিন আগে তার বাড়িতে আসে তাকে বলে ভিন রাজ্য থেকে স্বামী ফোন করেছে। এরপরই ওই গৃহবধূ তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ললিত মণ্ডলের বাড়িতে যায়। এরপর অভিযুক্ত ললিত মন্ডল তাকে জোর করে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
খুন করে ফেলার হুমকি
এরপর তাকে বলে, কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। ভয়ে সে কথা কাউকে বলতে পারেননি বধূ বলে নিজেই জানিয়েছেন। পরে ধাতস্থ হয়ে গ্রামের মানুষকে ঘটনা বিস্তারিত জানান নির্যাতিতা বধূ। ঘটনা জানতে পেরে মীমাংসা করার জন্য অভিযুক্তকে বেশ কয়েকবার ডাকা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ললিত মন্ডল সেখানে আসেনি বলে জানা গিয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থানায়
এরপর স্বামী সম্প্রতি ভিন রাজ্য থেকে মালদায় ফিরে আসেন। গৃহবধূ সমস্ত ঘটনা তার স্বামীকে জানান। গৃহবধূ আরও জানান, এলাকায় এর আগেও এই ধরনের ঘটনা গ্রামে ঘটিয়ে টাকা দিয়ে মীমাংসা করে নিয়েছে ললিত। থানায় আসতে দেয়নি। বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্ত ললিত মন্ডলের নামে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধূ।
গ্রেফতার অভিযুক্ত
বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই গোপন ডেরা থেকে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে। বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে পাঠিয়েছে এবং ওই মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।