Advertisement

গরু পাচারে বাধা, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ প্রতিবাদীকে

গরু পাচারের (Cattle Smuggling) প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) কালিয়াচক থানার দুই শত দিঘি এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নাম শ্যামচরণ মণ্ডল। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ব্যক্তির বাড়ির পাশ দিয়ে কখনও গরু কখনও ফেনসিডিল পাচার করে আসছে গৌরচাঁদ সিংহ, জয়রাম সিংহ, অনুপ সিংহ, অমর সিংহ সহ বেশ কয়েকজন। আগেও এই ধরনের ঘটনায় বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্যামচরণ। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরপর পর মঙ্গলবার ফের গরু পাচারের সময় প্রতিবাদ জানান শ্যামচরণ। অভিযোগ, তারপরেই তাঁর ওপর ইট পাথর বাঁশ লাঠি নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে।

প্রতীকী ছবি
ভাস্কর রায়
  • মালদা,
  • 23 Dec 2020,
  • अपडेटेड 3:49 PM IST
  • মালদায় ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন
  • গরু পাচারের প্রতিবাদ করায় খুন, অভিযোগ পরিবারের
  • পুলিশি তদন্তে আটক ৩


গরু পাচারের (Cattle Smuggling) প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) কালিয়াচক থানার দুই শত দিঘি এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নাম শ্যামচরণ মণ্ডল। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ব্যক্তির বাড়ির পাশ দিয়ে কখনও গরু কখনও ফেনসিডিল পাচার করে আসছে গৌরচাঁদ সিংহ, জয়রাম সিংহ, অনুপ সিংহ, অমর সিংহ সহ বেশ কয়েকজন। আগেও এই ধরনের ঘটনায় বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্যামচরণ। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরপর পর মঙ্গলবার ফের গরু পাচারের সময় প্রতিবাদ জানান শ্যামচরণ। অভিযোগ, তারপরেই তাঁর ওপর ইট পাথর বাঁশ লাঠি নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। শ্যামচরণের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গেলে পালিয়ে যায দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

নিহতের ছেলে প্রসেনজিৎ মণ্ডল জানাচ্ছেন, "বাড়ির পাশেই সীমান্ত। সেখান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কখনও গরু কখনও ফেনসিডিল পাচার করছে দুষ্কৃতীরা। গভীর রাতেও বাড়ির পাশ দিয়ে গরু পাচার করা হচ্ছিল। সেই সময় বাবা বাধা দেন। তারপরেই বাবাকে বেধড়ক মারধর করে গৌরচাঁদ সিংহ, জয়রাম সিংহ, অনুপ সিংহ সহ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাবার চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। তারপর বাবাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভর্তি করা হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসকরা আমার বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমি চাই দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি হোক।" 

মৃতের এক আত্মীয় সুকুমার মণ্ডলের গলাতেও শোনা গেল একই অভিযোগ। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দুষ্কৃতীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পাড়া প্রতিবেশীরাও। 
 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement