Kolkata Crime News: নকল সোনা বিক্রির অভিযোগ, খাস কলকাতায় গণপিটুনিতে ব্যক্তির মৃত্যু

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে ধর্মরাজতলা এলাকায় টহলদারি চালানোর সময় রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। জানা যায়, তাঁর নাম দীপক সিং, বয়স ৩৩। পর্ণশ্রী থানার পুলিশ তাঁকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে। তাঁর সারা শরীরে একাধিক আঘাত ছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় পুলিশ জানতে পারে, দীপক ও তাঁর আত্মীয় মহেন্দর সিং (৫৫) — দু’জনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে, তারাও দীপক ও মহেন্দরের পরিচিত বলে দাবি করেন।

এরপরেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা যায়, এম.জি. সাহা রোডের ৯ নম্বর বাড়ির সামনে পড়ে মহেন্দর সিংয়ের নিথর দেহ। তবে সেখানকার মাটিতে কোনও রক্তের চিহ্ন ছিল না। পুলিশের ধারণা, সেই জায়গাতেই খুন না-ও হয়ে থাকতে পারে। সম্ভবত অন্য কোথাও খুন করে দেহ সেখানে এনে ফেলা হয়েছে।

বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মহেন্দরকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে দীপকের অবস্থা গুরুতর।

ঘটনার তদন্তে নামে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। দীপকের বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে সঞ্জীব কর্মকার, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, চন্দন ঘোষ ও আরও কয়েকজন।

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, দীপক ও মহেন্দর নাকি অভিযুক্তদের কাছে জাল সোনার গয়না বিক্রি করেছিলেন। পরে ধরা পড়ে যাওয়ায় অভিযুক্তরা তাঁদের একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে ডেকে পাঠায়। সেখানেই চলে বেধড়ক মারধর। সেই মারধরেই মৃত্যু হয় মহেন্দরের। গুরুতর জখম হন দীপক।

ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৩(১)/১০৯/৩(৫) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সঞ্জীব, বিশ্বজিৎ ও চন্দন রয়েছে। জাল সোনার গয়নাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক উইং। তদন্তে সহযোগিতা করছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ।

পর্ণশ্রী অঞ্চলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা।