বর্ষবরণের রাতে মা ও চার বোনকে মদ খাইয়ে খুন যুবকের। তার বয়স মাত্র ২৪ বছর। মা ও চার বোনকে মাদক খাওয়ানোর পর তাদের হাতের ও গলার শিরা কেটে খুন করে আরশাদ নামের ওই যুবক। তাকে লখনউ পুলিশ গ্রেফতার করে। যুবেকর দাবি, বাবার সঙ্গে যোগসাজশ করে সে খুন করে পরিবারের সদস্যদের। নিজের অপরাধের কথা কবুল করে একটি ভিডিও বানিয়েছে সে।
আগ্রা জেলার কুবেরপুরের বাসিন্দা আরশাদ। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সে আজমেরে একটি হোটেলে ছিল সে। পরে লখনউকে একটি হোটেলে আসে ৩০ ডিসেম্বর। সেখানেই পরিকল্পনা করে চার বোন আলিয়া (৯), আলশিয়া (১৯), আকসা (১৬) ও রাহমিনকে খুন করে। সেই তালিকায় রয়েছে নিজের মা-ও। আপরাধ করার পর আরশাদ একটি ভিডিও বানিয়ে জানায়, প্রতিবেশীদের জন্য বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে সে। তার মা ও বোনদের যাতে অপদস্থ হতে না হয়, সম্মানহানি না হয় সেজন্য সে খুন করেছে।
আরশাদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, তার জমি-জায়গা নিয়ে গ্রামে অশান্তি চলছিল। সেই অশান্তির আঁচ সবার উপর পড়ছিল। তার অবর্তমানে মা ও চার বোনের সম্মানহানি হতে পারত। তাদের হয়তো অপদস্থ করা হত। সেজন্য সে চরম পদক্ষেপ নেয়।
কীভাবে খুন করল আরশাদ?
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, নবর্ষের রাতে হোটেলের রুমে বাইরে থেকে খাবার কিনে এনেছিল আরশাদ ও তার বাবা। খাবারে মাদক মেশানো ছিল। এছাড়াও তারা মদ্যপান করে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। মাদক মেশানো খাবার খেয়ে সবাই অচৈতন্য হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে আরশাদ ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে এক এক জনের। তারপর তাদের হাতের ও গলার শিরা কাটে। এরপর সে বাবাকে স্টেশনে রেখে আসে। তারপর নিজেই থানায় যায়। এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে ব্লেড, ওড়না উদ্ধার হয়।
ঘটনা নিয়ে ডিসিপি রাভিনা ত্যাগী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অকুস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নানা জিনিস। ফরেনসিক দলও সেখানে গিয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে গোটা ঘটনা পরিষ্কার হবে।