বিয়ে করবেন বলে বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন যুবতী। সেই বয়ফ্রেন্ডের হাতেই খুন হতে হল তাঁকে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুবতীকে। জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককেও খুন করা হয়েছে। তবে সে কেন খুন করল তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মৃতার নাম রোশনি মোসেস (২২)। বাড়ি উত্তর বেঙ্গালুরু। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এলাকারই যুবক সঞ্জয় কেভিনের। একটি স্কুলে চাকরি করতেন রোশনি। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনের মধ্যে অনেকদিনের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক করেন, গোয়ায় এসে ধুমধাম সহকারে বিয়ে করবেন। সেই মোতাবেক তাঁরা গোয়া আসেন। তবে তাঁদের মধ্যে কোনও অজানা কারণে বচসা হয়। তার জেরেই সঞ্জয় খুন করে রোশনিকে। তাঁর দেহ ফেলে দেয় দক্ষিণ গোয়ার প্রতাপ নগর জঙ্গলে। সোমবার বিকেলে
ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় সেখান থেকে। তারপরই সামনে আসে গোটা ঘটনা।
তবে রোশনিকে কবে খুন করা হয়েছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, হয় অন্য কোথাও খুন করে রোশনির দেহ জঙ্গলে ফেলে দেয় অথবা জঙ্গলের কাছে নিয়ে এসে খুন করা হয়। দুটোর সম্ভাবনা রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।
মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ধারাল কোনও অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রোশনিকে। এখনও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
দক্ষিণ গোয়ার পুলিশ সুপার তিলক সিং বর্মা এই ঘটনা নিয়ে জানান, 'বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়ে এক যুবতীকে খুন করা হয়েছে। গোয়ার জঙ্গলে দেহ মিলেছে। কী কারণে খুন তা এখনও পরিষ্কার নয়। সঞ্জয় রোশনিকে সন্দেহ করত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তা তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ব্যাগ থেকে বাসের টিকিট মিলেছে। অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করেছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'