মোট ৩ টি ব্যাগ। একটি নিজের সঙ্গে সিটের উপরে। আর দু'টি বাসের ছাদে। দিব্যি বাসে করে মালদা থেকে আসছিলেন এক ব্যক্তি। দেখে কারও সন্দেহ হওয়ার কথাই নয়। কিন্তু এই আপাত সাধারণ যাত্রীর ব্যাগ থেকেই উদ্ধার হল লাখ-লাখ টাকা। নোটের তোড়া দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও। ধর্মতলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ধৃতের নাম মানোয়ার শেখ। বয়স বছর ৫১ হবে। মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। মালদা থেকে বাসে ৩টে বড় ব্যাগ নিয়ে উঠেছিলেন। দেখে কারও মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হবে না। ভাববেন, জেলার বাসিন্দা। বাড়ি থেকে হয় তো বহুদিন পর শহরে আসছেন।
কিন্তু এই ব্যক্তির ব্যাগ থেকেই যে এত তোড়া-তোড়া নোট বের হবে, তা কে জানত!
খবর ছিল পুলিশের কাছে
পুলিশের কাছে যদিও আগে থেকেই এর খবর ছিল। সেই মতো শুরু থেকেই অভিযুক্তের মুভমেন্টে নজর রাখছিলেন দুঁদে অফিসাররা।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে সাতটায় কলকাতার ধর্মতলায় বাস এসে স্ট্যান্ডে পৌঁছায়। এদিকে পজিশন নিয়ে রেডি হয়েই ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রায় ১৫ জন অফিসার পুরো অপারেশনটি সাজিয়েছিলেন। সেই মতো তাঁরা বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন। বাস ঢুকতেই সেটা ঘিরে ফেলেন তাঁরা। এরপর হাতেনাতে পাকড়াও করেন অভিযুক্ত যাত্রীকে। ব্যাগ খুলতেই অবাক হয়ে গেলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এত নোট! এর আগে শেষ কবে একজন ব্যক্তির কাছে এত টাকা মিলেছে, সেটা মনে করতে পারছেন না তাঁরা।
সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করেন তাঁরা। কিন্তু এত নোট গুনবে কে? রীতিমতো লোকজন বসিয়ে, টেবিল পেতে শুরু হয় নোট গোনার কাজ।
প্রাথমিকভাবে এগুলি জাল নোট বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে কোনও বড় চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে মত আধিকারিকদের। ধৃতকে জেরার মাধ্যমে সেই তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।