মালদায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির গ্রামের যুবকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই নাবালিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা জানতে পেরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস বিজেপি নেতৃত্বের।
ঠিক কী হয়েছিল
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে,অভিযুক্ত যুবকের নাম বাপি মহালদার ওরফে ভোলা। লক্ষীকোল গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত। পরিবার সূত্রে জানা গেছে নির্যাতিতা নাবালিকা নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা মৎস্যজীবী। এদিন বাবা মাছ ধরতে যাওয়ার পর মাও জমিতে কাজ করতে বেরিয়ে যায়। বিকেল নাগাদ অন্যান্য দিনের মতোই বাড়ির গবাদিপশুর জন্য বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জমিতে যায় ওই নাবালিকা ঘাস আনতে। সেখানেই ফাঁদ পেতে বসেছিল অভিযুক্ত যুবক বাপি মহালদার। জমিতেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে ওই নাবালিকাকে ব্যাপক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, ব্ল্যাকমেল করে ৬৬ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশের জালে ই-কমার্স ডেলিভারি বয়
এরপর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। জমি থেকেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্যাতিতাকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই মানিকচক থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।
হুঁশিয়ারি বিজেপির
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে মানিকচক থানায় ছুটে আসে রাজ্য বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সহ মানিকচক মন্ডল বিজেপি নেতৃত্ব। থানা চত্বরে ক্ষোভ প্রকাশ করার সঙ্গে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা সামনে এসেছে। এই ছোট নাবালিকার ওপর নির্মম ভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে। নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ রয়েছে।আমরা দাবি করছি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ। মেয়েটির পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। এদিকে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগের পরে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে শারীরিক চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।