
মুম্বইয়ের পোয়াইয়ে ১৭ জন শিশুকে বন্দি করা অপহরণকারীর মৃত্যু। পুলিশি অভিযানের সময় অপহরণকারীকে গুলি করা হয়। এরপর গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
শিশুদের উদ্ধার করার সময়, পুলিশ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয় অপহরণকারী রোহিত আর্য। চিকিৎসার সময় চিকিৎসকেরা রোহিত আর্যকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে। অস্ত্রোপচারের রিপোর্ট তৈরি করছে।
এদিন ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় অপহরণকারী বলে, "আমি সন্ত্রাসবাদী নই। টাকাও দাবি করছি না। আমার কিছু প্রশ্ন করার আছে, তাই আমি কয়েকজনকে বন্দি করে রেখেছি। এটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা ছিল। যদি আমি বেঁচে থাকি, আমি এটা করব। যদি আমি মারা যাই, অন্য কেউ করবে, কিন্তু এটা অবশ্যই ঘটবে। যদি সামান্যতম ভুলও করেন এখানে আগুন লাগিয়ে দেব। তারপর আমি মরব। আমি মরি বা বাঁচি, বাচ্চারা অকারণে আঘাত পাবে।"
কে এই রোহিত আর্য?
পুনের বাসিন্দা রোহিত আর্য। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকরের আমলে শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি স্কুল প্রজেক্টের জন্য টেন্ডার পেয়েছিলেন। তবে, রোহিত আর্য বলেছেন, তিনি এখনও এই প্রজেক্টের টাকা পাননি। এই কারণেই তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন বেশ কয়েকবার দীপক কেসরকরের বাসভবনের বাইরে প্রতিবাদ করেছিলেন।
এদিন মুম্বইয়ের পোয়াইয়ের আরএ স্টুডিওতে ১৫-২০টি শিশুকে পণবন্দি করা হয়। মুম্বইয়ের পোয়াই আরএ স্টুডিওতে প্রায় শ' খানেক শিশু অডিশনের জন্য আসে। স্টুডিওর একতলায় অভিনয়ের ক্লাস হয়। ওই স্টুডিওতে কর্মরত রোহিত আর্যা নামে এক ব্যক্তি ১৫-২০টি শিশুকে বন্দি বানিয়ে নেয়। ভরদুপুরেই ঘটনাটি ঘটে।
স্টুডিওর কাচের ঘর থেকে শিশুদের হাত নাড়িয়ে সাহায্য চাওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। বাইরে থাকা বাবা-মায়েরা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। আতঙ্কে বুক কেঁপে ওঠে অভিভাবকদের।
খবর অনুযায়ী, রোহিত গত চার-পাঁচ দিন ধরে এখানে অডিশন নিচ্ছিল। আজ, প্রথমে ৮০ জন শিশুকে যেতে দেয়। বাকিদের একটা ঘরে আটকে রাখে। জানালা দিয়ে শিশুদের উঁকি মারতে দেখা যায়। এরপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আর স্টুডিও ঘিরে ফেলে পুলিশ। অভিযুক্তদের কী দাবি তা স্পষ্ট হয়নি। তবে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। শিশুদের উদ্ধার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে।
পুলিশ স্টুডিও ঘিরে ফেলে
স্টুডিওর বাইরে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়। পরে পুলিশ রোহিতকে আটক করে। শিশুদের নিরাপদে উদ্ধার করে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর, পুলিশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। এই ঘটনায় শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।