Advertisement

Nithari Killings Case: বাড়িতে ১৯টি কঙ্কাল উদ্ধার-নরমাংস ভক্ষণ, সেই নিঠারি মামলায় ২ দোষীরই ফাঁসি রদ

Nithari Killings Case: নিঠারি মামলায় সিবিআই মোট ১৬টি মামলা নথিভুক্ত করেছিল। এর মধ্যে ১৪টি মামলায় সুরেন্দ্র কোলিকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। মনিন্দর সিং পান্ধেরের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা নথিভুক্ত হলেও এর মধ্যে ৩টিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। আদালত ১২টি মামলায় কোলিকে খালাস দিয়েছে এবং পান্ধেরকে ২টি মামলায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

নিঠারিকাণ্ডে সেই কোলি-পান্ধেরের ফাঁসি রদ আদালতেরনিঠারিকাণ্ডে সেই কোলি-পান্ধেরের ফাঁসি রদ আদালতের
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 16 Oct 2023,
  • अपडेटेड 12:49 PM IST

Nithari Killings Case: নয়ডার চর্চিত  নিঠারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত সুরেন্দ্র কোলির  ১২টি মামলায় এবং মনিন্দর সিং পান্ধেরের দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড রদ  করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।  এই মামলায় সুরেন্দ্র কোলি ও মনিন্দর সিং দুজনকেই নির্দোষ ঘোষণা করেছে আদালত। নিঠারি মামলায় সিবিআই ১৬টি মামলা নথিভুক্ত করেছিল। এর মধ্যে ১৪টি মামলায় সুরেন্দ্র কোলিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মনিন্দর সিং পান্ধেরের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা নথিভুক্ত হলেও এর মধ্যে ৩টিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে তিনি দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।

২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে নয়ডায় সংঘটিত নিঠারি মামলায়, সিবিআই সুরেন্দ্র কোলিকে হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ এবং প্রমাণ ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্ত করেছিল। যেখানে মনিন্দর সিং পান্ধেরও মানব পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত। উভয় অভিযুক্তই এলাহাবাদ হাইকোর্টে তাদের মৃত্যুদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। অভিযুক্তরা আদালতে বলেন , এসব ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই। শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক ও পরিস্থিতিগত প্রমাণের ভিত্তিতে তাদেরকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অশ্বনী কুমার মিশ্র ও বিচারপতি এস এ রিজভির বেঞ্চ এই মামলায় দুজনকেই খালাস দিয়েছে।

নিঠারি ঘটনা কী? 
২০০৬ সালের ৭ মে,  পান্ধের  নিথারি থেকে একটি মেয়েকে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে ডেকেছিল। এরপর মেয়েটি আর বাড়ি ফেরেনি। মেয়েটির বাবা নয়ডার সেক্টর ২০  থানায় নিখোঁজ মামলা দায়ের করেছিলেন। এর পরে, ২৯ ডিসেম্বর ২০০৬, পুলিশ নিঠারিতে মনিন্দর সিং পান্ধেরের বাড়ির পিছনের ড্রেনে ১৯ জন শিশু ও মহিলাদের কঙ্কাল খুঁজে পায়। পুলিশ মনিন্দর সিং পান্ধের এবং তার ভৃত্য সুরেন্দ্র কোলিকে গ্রেফতার করেছিল, পরে নিঠারি ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত মামলা সিবিআইয়ের কাছে স্থানান্তরিত হয়েছিল।

কোলি এবং পান্ধেরের সম্পূর্ণ কাহিনি
সুরেন্দ্র কোলি উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০০০ সালে দিল্লি আসেন। দিল্লিতে, কোলি একজন ব্রিগেডিয়ারের বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন।  বলা হত যে তিনি খুব সুস্বাদু খাবার রান্না করতেন। সুরেন্দ্র কোলি ২০০৩ সালে পান্ধেরের সংস্পর্শে আসেন। তাঁর অনুরোধে তিনি নয়ডা সেক্টর-৩১-এর ডি-৫ কোঠিতে কাজ শুরু করেন। ২০০৪ সালে, পান্ধেরের পরিবার পঞ্জাবে চলে যায়। এরপর তিনি ও োকলি ওই বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কল গার্লরা প্রায়ই পান্ধেরের বাড়িতে আসত। এ সময় তিনি বাড়ির গেটে নজর রাখতেন। অভিযোগ, তিনি বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া শিশুদের ধরে ফেলতেন, ধর্ষণ করে খুন করতেন। তবে নিঠারি গ্রামের লোকজন বলছেন, পান্ধেরের বাড়ি থেকে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনাবেচা হতো। গ্রামবাসীদের দাবি  যে তারা শিশুদের হত্যা করত এবং তাদের শরীরের অঙ্গগুলি বের করত। যেগুলি বিদেশে বিক্রি হতো।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement