নয়ডার গৃহবধূ নিকির মৃত্যুতে পরতে পরতে রহস্য। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ জানিয়েছিলেন, পণের কারণে তাঁদের মেয়েকে জামাই বিপিন ভাটি খুন করেছে। এতদিন পর্যন্ত সেই অভিযোগকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। কিন্তু এখন তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিকি মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হওয়ায় তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফোর্টিস হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও নার্স জানিয়েছেন, নিকি চিকিৎসাধীন থাকার সময় জানিয়েছিলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হওয়ায় তাঁর গায়ে আগুন লাগে। তবে চিকিৎসকরা এই দাবি করলেও পুলিশ বিপিনদের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্টের কোনও প্রমাণ পাননি।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, নিকিকে পণের জন্য যে শ্বশুরবাড়িতে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, এটা সত্যি। তার প্রমাণও রয়েছে। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ইনস্টাগ্রামে রিল বানানো নিয়েও বিপিনের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল নিকির। তাহলে কেন মৃত্যুশয্যায় শুয়ে সিলিন্ডার ব্লাস্টের কথা বললেন তিনি?
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স আরও জানিয়েছেন, নিকির শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেলেও তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন। হাত, পা নাড়তে পারছিলেন। তাঁকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক প্রতিবেশী। স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িও ছিলেন। তবে হাসপাতালে আসার পর থেকে নিকির অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
এদিকে নিকির এই বয়ান সামনে এলেও তাঁর বোন কাঞ্চনের অভিযোগ, বিপিন ও তাঁর বাবা, মা খুন করেছে। ৬ বছরের সন্তানের সামনে গায়ে আগুন লাগানো হয় নিকির। একই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বাবা এবং মা। নিকির পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, একটা মার্সিডিজ গাড়ির দাবিতে নিকির উপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করছিল বিপিন। ২০১৬ সাল থেকেই তাঁদের উপর অত্যাচার করা। তবে তাঁরা চুপ করে সহ্য করতেন। যেদিন নিকি মারা যান সেদিনও নাকি খুব অত্যাচার করা হয়েছিল তাঁর উপর।