আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তদন্ত আরও এক ধাপ এগোনোর চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। শিয়ালদা আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নার্কো অ্যানালাইসিস ও পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন করেছিল, তবে অভিযুক্তরা সেই টেস্টে সম্মতি দেননি।
সিবিআই গুজরাটের গান্ধীনগরে সন্দীপ ঘোষের নার্কো অ্যানালাইসিস করাতে চেয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার মতে, অপরাধের পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকলে নার্কো টেস্ট সেই সব সত্য উন্মোচনে সহায়ক হতে পারে। তবে সন্দীপ ঘোষ ও প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল, দু'জনেই টেস্টে অংশ নিতে রাজি হননি।
এর আগে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছিল, যেখানে দিল্লির সিএফএসএল-এর রিপোর্টে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছিল। ফলে, নার্কো টেস্ট অপরাধের গভীর ষড়যন্ত্র উন্মোচনে সহায়ক হতে পারে বলে সিবিআই মনে করেছিল।
আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তিনি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। সেই সঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হন। অভিযুক্তদের বক্তব্যে অসঙ্গতির কারণে এই দুই পরীক্ষার মাধ্যমে তদন্ত এগোনোর চেষ্টা চালিয়েছিল সিবিআই, কিন্তু তাদের অনীহার কারণে তদন্তে নতুন দিশা খোঁজা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।