হোটেলে এসির হাওয়া খাচ্ছিল পুলিশ। আর সে ফাঁকে কেটে পড়ল অভিযুক্ত। এ যেন টম অ্যান্ড জেরির কোনও দৃশ্য। এমনই আজব ঘটনা ঘটল ওড়িশার গজপতি জেলায়। মোহনা থানা এলাকার এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরোটাই ধরা পড়েছে। কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অভিযুক্ত পগার পার হয়েছে, তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে। আরও আশ্চর্যের বিষয়টি কী জানেন? অপরাধীর পায়ে শিকল বেঁধে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাতেও সে বেগ মানেনি। দিব্যি সুযোগ পেয়ে পালিয়ে গেল। এদিকে ব্যাপারটা বুঝতেই পারল না পুলিশ। সেই সময় এসি ঘরে বসে তন্দ্রা এসে গিয়েছিল তাঁদের।
সুযোগ পেয়ে অভিযুক্ত পগার পার!
২৭ অক্টোবর। গজপতি জেলার বাসিন্দা জুয়াল সাবারকে গাঁজা পাচারের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের আকোলা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। জুয়ালকে গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়েছিল। আকোলা পুলিশ আরও তদন্তের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে গজপতি জেলার মোহনা এলাকায় পৌঁছায়। স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়েই আকোলা পুলিশ রাত ২টা নাগাদ মোহনা এলাকার একটি হোটেলে গিয়ে ওঠে।
সকালে পুলিশকর্মীরা তখন 'ফ্রেশ হতে' ব্যস্ত। এসির হাওয়ায় তখনও তাঁদের তন্দ্রা ভাব কাটেনি। সেই সময়েই জুয়াল হোটেল রুম থেকে চুপিচুপি বেরিয়ে পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, জুয়ালের পায়ে শিকল তখনও বাঁধা রয়েছে। কিন্তু দিব্যি গুটিগুটি পায়ে সে কেটে পড়ছে। পুলিশের যতক্ষণে টনক নড়েছে, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। ত্রিসীমানায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও আর তার কোনও হদিশ মেলেনি। প্রকাশ্য দিবালোকে কেউ পায়ে শিকল নিয়ে কীভাবে পালিয়ে গেল, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আকোলা পুলিশ ও মোহনা পুলিশ এখন তারই খোঁজে আদাজল খেয়ে নেমছে।
এ ঘটনায় মোহনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মোহনা থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বসন্ত শেঠি বলেন, 'গাঁজা পাচারের অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর আকোলা পুলিশ জুয়াল সাবারকে গ্রেফতার করেছিল। জুয়ালকে অতিরিক্ত দায়রা আদালতে হাজির করার পর, আকোলা পুলিশ তাঁকে আরও তদন্তের জন্য রিমান্ডে নেয়। ২ ও ৩ নভেম্বর রাতে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় পুলিশের টিম মোহনার পদ্মালয় লজে রাত্রিযাপন করছিল।'
পলাতকের সন্ধানে ব্যস্ত পুলিশ
সকাল ৮টার দিকে পুলিশকর্মীরা দেখেন, 'বন্দি' কেটে পড়েছেন। এরপরেই স্থানীয় থানায় বিষয়টা ইনফর্ম করা হয়। সবাই মিলে খোঁজ শুরু করেছেন।