শুধু বোমাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্রও। মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার হারুর পাড়া মাঠ এলাকায় গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখতে পায় পুলিশ। তারপর তল্লাশি চালাতেই তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ১২ব্যারেল পাইপ গান, একটি ৭ এমএম পিস্তল, একটি খালি ম্যাগাজিন , দু'রাউন্ড গুলি। তারপর ওই দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম টোটন মণ্ডল, যার বাড়ি সাগরপাড়া থানা এলাকায়, ধৃত সজিবুর শেখের বাড়ি ডোমকল থানা এলাকায়। ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের সোমবার জেলা আদালতে পাঠায় ডোমকল থানার পুলিশ।
২০২৬-এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগেই রাজ্যে একাধিক এলাকায় মুড়ি মুড়কির মতো উদ্ধার হচ্ছে বোমা। ভোটের আগে সাত থেকে আট মাস মতো দেরি রয়েছে। তার আগেই যে পরিমাণে বোমা উদ্ধার হচ্ছে তাতে কিন্তু রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ভোট হওয়া নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
সোমবার, ২৬ মে সকালে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত তিন পাকুরিয়া এলাকাতে একটি প্লাস্টিকের বালতি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই বিষয়টি পুলিশকে জানান তাঁরা। এরপরই সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বালতিটিকে উদ্ধার করে। বালতি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু তাজা বোমা। বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তিন পাকুরিয়া এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তিন পাকুরিয়া এলাকার আম বাগানের মধ্যেই বোমা ভর্তি বালতিটিকে ঘিরে রাখে পুলিশ। এলাকায় বসানো হয় পুলিশ পিকেট।
বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। তবে প্রশ্ন একটাই প্রতিনিয়ত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকেই বোমা উদ্ধার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এত পরিমাণে অস্ত্র, বোমা আসছে কোথা থেকে। কী কারণেই বা এত পরিমাণ বোমা আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হচ্ছে এলাকায়? কিছুটা হলেও কপালে ভাঁজ পড়েছে মুর্শিদাবাদ পুলিশের। প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদ পুলিশের অতি তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক আধিকারিক এবিষয়ে জানান, প্রতিনিয়ত পুলিশের ধরপাকড়, নাকা চেকিং-এর পাশাপাশি স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারির কারণেই এই ধরনের অস্ত্র বোমা উদ্ধার হচ্ছে।