Advertisement

Purulia School Student Murder: স্কুল ছুটির 'লোভ', ক্লাস ওয়ানের পড়ুয়াকে খুন করল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র

স্কুল ছুটির জন্য খুন। বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি পেতে ক্লাস ওয়ানের ছাত্রকে খুন করল এক পড়ুয়া। অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

Aajtak Bangla
  • মানবাজার,
  • 06 Feb 2024,
  • अपडेटेड 2:19 PM IST
  • স্কুল ছুটির জন্য খুন। বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি পেতে ক্লাস ওয়ানের ছাত্রকে খুন করল এক পড়ুয়া।
  • অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পুরুলিয়ার মানবাজারের একটি স্কুলের ঘটনা। বেসরকারি আবাসিক স্কুলে থাকত দুই ছাত্র। 
  • গত মঙ্গলবার স্কুলের কাছের একটি পুকুর থেকে ক্লাস ওয়ানের ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা দেখেন দেহের মুখে ইট বা কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

স্কুল ছুটির জন্য খুন। বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি পেতে ক্লাস ওয়ানের ছাত্রকে খুন করল এক পড়ুয়া। অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পুরুলিয়ার মানবাজারের একটি স্কুলের ঘটনা। ঘাসতোড়িয়া সারদা শিশু মন্দির আবাসিক স্কুলে থাকত দুই ছাত্র।  

গত মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি স্কুলের কাছের একটি পুকুর থেকে সুদীপ মাহাত (৬) নামের ক্লাস ওয়ানের ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা দেখেন দেহের মুখে ইট বা কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আর তার ফলেই মৃত্যু। অর্থাৎ, পুকুর থেকে দেহ মিললেও, এটি যে সাধারণ ডুবে যাওয়ার ঘটনা নয়, তা বুঝতে সময় লাগেনি পুলিশকর্মীদের। এরপরেই ঘটনার পূর্ণ তদন্তে নামে পুলিশ।

আবাসিক স্কুলের পড়ুয়াদের প্রত্যেককে জেরা করা হয়। এরই মধ্যে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। একের পর এক অসংলগ্ন কথা বলছিল সে। 

এরপরেই তাকে আলাদা করে টানা জেরা শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। একটানা চাপের মুখে ভেঙে পড়ে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্র। পুলিশি জেরায় সে জানায়, চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ক্লাস ওয়ানের ছাত্রকে ডেকে নিয়ে যায় সে। তারপর স্কুলের পাশে একটি পুকুরের ধারে নিয়ে যায়। সেখানে তারে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর পুকুরে দেহ ফেলে দেয় সে। 

খুনের মোটিভ
কিন্তু এমন নির্মম খুনের পিছনে কারণ কী? সেটা জানার চেষ্টা করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হয় তদন্তকারীদের। জেরায় অভিযুক্ত কিশোর জানায়, কয়েকদিন আগেই এই স্কুলে ভর্তি হয়েছে সে। হোস্টেলে থাকে। কিন্তু বাড়ি যেতে চাইছিল। এদিকে ছুটি না হলে বাড়ি যাওয়া যাবে না। এমন সময়েই তার মাথায় এই পরিকল্পনা আসে। পড়ুয়ার মৃত্যুতে স্কুলে ছুটি পাওয়া যায় বলে শুনেছে সে। আর সেই বুদ্ধি থেকেই প্রথম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে খুন করে। এরপর দেহ পুকুরে ফেলে দেয়, যাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় পুকুরে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। 

Advertisement

অভিযুক্ত কিশোরকে প্রথমে পুরুলিয়ার শিমুলিয়া আনন্দমঠ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে পেশ করা হয়। পরে সেখান থেকে হুগলির কল্যাণ ভারতী হোম পাঠানো হয়। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement