Advertisement

Kolkata RG Kar Medical Collage : ধর্ষণ, খুন, হাসপাতালে হামলা; আরজি কর কাণ্ডে যে সব উত্তর খুঁজতে হবে CBI-কে

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সুবর্ণ দাবি করেছেন, এই মামলাটি ধর্ষণের নয়, গণধর্ষণের। তাঁর মতে, রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা আছে যে জুনিয়র ডাক্তারের গোপনাঙ্গ থেকে ১৫১ গ্রাম তরল পাওয়া গেছে। তাঁর মতে, এই তরলের বেশিরভাগই সিমেন। এতে সামান্য শ্লেষ্মা বা আরও দুই-তিনটি জিনিস থাকতে পারে।

kolkata RG Kar kolkata RG Kar
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ও কলকাতা ,
  • 15 Aug 2024,
  • अपडेटेड 9:59 PM IST
  • ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সুবর্ণ দাবি করেছেন, এই মামলাটি ধর্ষণের নয়, গণধর্ষণের
  • তাঁর মতে, রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা আছে যে জুনিয়র ডাক্তারের গোপনাঙ্গ থেকে ১৫১ গ্রাম তরল পাওয়া গেছে

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুনের মামলায় সঞ্জয় রায় নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার এখন সিবিআই-এর হাতে। এর পরপরই অল ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। 

প্রশ্নের পর প্রশ্ন- 

  • কলকাতার সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ নয়, গণধর্ষণ করা হয়েছিল? 
  • এই ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ছাড়া আরও অনেকে জড়িত ছিল? 
  • যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে সেই লোকেরা কারা এবং কেন কলকাতা পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান করতে পারেনি? 

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সুবর্ণ দাবি করেছেন, এই মামলাটি ধর্ষণের নয়, গণধর্ষণের। তাঁর মতে, রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা আছে যে জুনিয়র ডাক্তারের গোপনাঙ্গ থেকে ১৫১ গ্রাম তরল পাওয়া গেছে। তাঁর মতে, এই তরলের বেশিরভাগই সিমেন। এতে সামান্য শ্লেষ্মা বা আরও দুই-তিনটি জিনিস থাকতে পারে।

আরও পড়ুন

ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ? 

সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, গোপনাঙ্গ থেকে ১৫১ গ্রাম তরল পাওয়া গিয়েছে। ফলে এর থেকে প্রমাণিত হয়, একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে। তার মানে মামলাটি গণধর্ষণের। তিনি জানান, একজন মানুষের সিমেন গড়ে প্রায় পাঁচ গ্রাম। তবে মামলাটি ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ তা ডিএনএ রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। শুধুমাত্র ডিএনএ-র মাধ্যমে জানা যাবে জুনিয়র ডাক্তারের গোপনাঙ্গ থেকে পাওয়া সিমেন এক ব্যক্তির নাকি একাধিক ব্যক্তির। 

প্রমাণ নষ্টের ষড়যন্ত্র: সুবর্ণ গোস্বামীও জুনিয়র ডাক্তারের শরীরে ক্ষতের চিহ্ন তুলে ধরে বলেন, জুনিয়র ডাক্তারকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে তা দেখে মনে হয় না এটা একার কাজ। এদিকে, মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার পরে, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন যে কলকাতা পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় যে জুনিয়র চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে, সেই সেমিনার হলটিও সিল করেনি পুলিশ। বরং একই ফ্লোরে এবং একই সেমিনার হলে ভাঙা ও মেরামতের কাজ শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। 

অনেকের অভিযোগ, নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার দেওয়ার পরিবর্তে হাসপাতাল এবং স্থানীয় প্রশাসন অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। প্রশ্নের মুখে ওই মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পদত্যাগের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁকে নতুন জায়গায় নিয়োগ করে। সন্দীপ ঘোষের প্রতি সরকার এত সদয় কেন, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement