RG Kar Victim Last Message: ৯ অগাস্ট রাত ২.৪৫ নাগাদ শেষ মেসেজ করেছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তদন্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার রাতে, পৌনে ৩টের সময়ও খুড়তুতো ভাইয়ের মেসেজের রিপ্লাই দিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সূত্রের খবর, সেই রাতে নির্যাতিতার খুড়তুতো ভাই তাঁকে মেসেজ করেছিলেন। জানা যাচ্ছে রাত ২.৪৫-এ সেই মেসেজের উত্তর দিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, সেই রাতে এরপর ভোর ৪টে ৩ মিনিটে সেমিনার হলের করিডোরে সঞ্জয়কে সিসিটিভি-তে দেখা যায়। এরপর
এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা জানা যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী, ডিউটির পরে সেমিনার হলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তখনই সঞ্জয় তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার টাইমলাইন- এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে:
ভোর ২টো ৪৫ মিনিট: খুড়তুতো ভাইকে মেসেজের রিপ্লাই করেন তরুণী। এরপর মনে করা হচ্ছে সেমিনার হলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি।
এর ঠিক ৫৭ মিনিট পরেই ক্রাইম সিনের দিকে সঞ্জয়ের প্রবেশ। দেখুন পর পর ঠিক কখন কী ঘটেছিল বলে জানা যাচ্ছে,
ভোর ৩টে ৪২ মিনিট: অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আরজি কর হাসপাতালের গেট দিয়ে প্রবেশ করে। গেটের কাছেই বাইক পার্ক করে।
ভোর ৩টে ৪৮ মিনিট: সঞ্জয় রায়কে এমার্জেন্সি বিভাগ ও বিল্ডিংয়ের ব়্যাম্পে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
ভোর ৪টে ৩ মিনিট: সেমিনার হলের ৪ তলার করিডোরে সঞ্জয়। হাতে হেলমেট।
ভোর ৪টে ৩২ মিনিট: সঞ্জয় রায় চার তলার চেস্ট ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসে।
ভোর ৪টে ৩৭ মিনিট: সঞ্জয় রায় বাইকে করে আরজি কর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে, আগে কলকাতার দুই যৌনপল্লিতে গিয়েছিল সঞ্জয়। সিবিআই-এর জেরায় এমনটাই জানা গিয়েছে।