বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শাহজাদের বাবা রুহুল আমিন বড় দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে সে তাঁর ছেলে নয়। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি বলেছেন যে তাঁর ছেলে এবং সিসিটিভিতে দেখা ব্যক্তির মধ্যে কোনও মিল নেই। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের বাবা বলেন, 'সইফ আলি খানের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সে আমার ছেলে নয়। ওই ব্যক্তির চুল অনেক লম্বা, অথচ আমার ছেলে সাধারণত সেনাদের মতো চুল ছোট রাখে।' তিনি আরও জানান যে শরিফুল মাধ্যমিক পাস করেছে। বাইক-রিকশা চালিয়ে সংসার চালাত।
রুহুল আমিন ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের খুলনায় একটি পাটকলে কাজ করেছেন। এরপর গ্রামে ফিরে কৃষিকাজ শুরু করেন। হামলাকারী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ বাংলাদেশি বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তার বাংলাদেশি আইডি কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছে। এতে তার নাম লেখা হয়েছে শরিফুল ইসলাম।
পুলিশের পাওয়া নথি থেকে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে তার বাবার নাম মহম্মদ রুহুল আমিন। গত রবিবার শরিফুল ইসলাম শাহজাদ মহম্মদ রোহিল্লা আমিন ফকিরকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। সে বিজয় দাস নামে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। সে বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা। গত পাঁচ মাস ধরে সে মুম্বইয়ে ছিল। মুমবাই পুলিশ জানিয়েছে, শরিফুল একটি হাউসকিপিং এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ৭ মাস আগে সে ডাউকি নদী পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকে। প্রথম কয়েক সপ্তাহ পশ্চিমবঙ্গে থাকার পর চাকরির জন্য মুম্বই চলে আসে। খুকুমণি জাহাঙ্গির সেখ নামে নথিভুক্ত স্থানীয় এক ব্যক্তির আধার কার্ড ব্যবহার করে সে সিম কার্ড কেনে। এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, যেখানে তাকে ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তদন্তকারীরা। কারণ জিজ্ঞাসাবাদে সে বাংলাদেশি উচ্চারণে হিন্দি বলছে।
সইফ আলি খানের উপর প্রাণঘাতী হামলা নিয়ে অনেকেই ক্রমাগত প্রশ্ন তুলছেন। এ ঘটনায় পুলিশের তত্ত্বকেও সন্দেহ করছেন মানুষ। রাজনৈতিক মহল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, লোকেরা এটি নিয়ে লিখছে এবং বলছে। সইফের ওপর ছুরি হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতীশ রানেও। তাঁর প্রশ্ন, 'সইফ আসলেই আক্রমণের শিকার নাকি তিনি অভিনয় করছেন।' সইফের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় নিরুপমও। নিরুপম বলেন, 'যে ব্যক্তির এত বড় অপারেশন হয়েছে তিনি কীভাবে এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারেন?'