বাংলাদেশ থেকে এসে এক মহিলার আধারের মাধ্যমে সিম তুলেছিল শরিফুল ইসলাম। সইফ আলি খানের হামলাকারীকে জেরা করে এমনটাই জানতে পারে মুম্বই পুলিশ। কলকাতার সেই মহিলা, খুকুমণি শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মুম্বই পুলিশ। আজ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত বিভিন্ন নামে পরিচিত। কেউ তাঁকে বিজয় দাস বলে, আবার কারও কাছে তিনি মোহাম্মদ ইলিয়াস। শরিফুল ইসলামকে থানের হিরানন্দানি এস্টেটের মেট্রো নির্মাণ সাইটের একটি লেবার ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করা হয়।
১৬ জানুয়ারির ভোরে সইফ আলি খানের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে ছুরি দিয়ে অভিনেতাকে আঘাত করেন অভিযুক্ত শেহজাদ। অভিযোগ, চুরির উদ্দেশ্যে তিনি ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছিলেন।
এমন বিলাসবহুল আবাসনে নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও, কর্তব্যরত রক্ষী সেদিন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এই সুযোগে শেহজাদ পাঁচিল টপকে কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়েন এবং সোজা ১১ তলায় উঠে যান। তিনি এসি হাওয়া চলাচলের জন্য থাকা ডাক্ট শ্যাফট ব্যবহার করে সইফের ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েন। সেখানে বাচ্চাদের ঘরের কাছের বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন তিনি।
মুম্বই পুলিশের ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম বলেন, “শেহজাদ ডাকাতির উদ্দেশ্যে সইফের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং শীঘ্রই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তাঁর আগের কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড নেই।”
পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাঁর কাছে কোনও বৈধ ভারতীয় নথি নেই।
হামলার পরে সিসিটিভি ফুটেজে শেহজাদকে সইফের বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যায়। সেই ছবি মুম্বই এবং আশপাশের এলাকার পুলিশ স্টেশনে পাঠানো হলে, অভিযুক্তের খোঁজ মেলে।