Siliguri Murder Case: এবার শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া শিলিগুড়িতে। স্ত্রীকে খুন করার পর দেহ দু'টুকরো করে আলাদা বস্তায় ভরে ক্যানেলের জলে ফেলে দিল স্বামী। পরে নিজেই শশুরের সঙ্গে থানায় গিয়ে স্ত্রীর নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে নিজেই। যদিও কয়েকদিন তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ ঘুরে যায় স্বামীর দিকেই। পুলিশ তদন্তে নেমে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদে চাপ দিতেই খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত স্বামী বলে পুলিশ জানায়। এরপর ক্যানেলে ডুবুরি নামিয়ে দেহাংশ খোঁজার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় গোটা শিলিগুড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিকে পাড়ার লোকেরা এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা জেনে শিউরে উঠেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশ নগরের বাসিন্দা রেনুকা খাতুন। ছয় বছর আগে তার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা আনসারুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। পেশায় আনসারুল একজন রঙ মিস্ত্রী। ওই দম্পত্তির একটি শিশুও রয়েছে। এমনিতে ভালই চলছিল দাম্পত্য।
জানা গিয়েছে মাসখানেক আগে রেনুকা শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় বিউটিশিয়ান কোর্সে ভর্তি হয়। রেনুকা বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। এরপর থেকেই স্বামীর মনে স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহ শুরু হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় রেণুকা।
২৫ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় শ্বশুরের সঙ্গে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে আনসারুল। এরপরই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে আনসারুলের উপর সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পেলে তাকে আটক করে ও জেরা শুরু করে। শেষমেশ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে আনসারুল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় আনসারুল জানায়, ২৪ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে খুন করে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেয় এবং দুটি আলাদা বস্তায় ঢুকিয়ে ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়। তবে স্ত্রী সত্যিই পরকীয়ায় জড়িয়েছিল কি না তা এখনও জানা যায়নি।