
জালে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকারী। অভিযুক্তের নাম শিব কুমার। প্রাথমিক জেরায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে এই ব্যক্তিই হত্যা করেছিল। রবিবার উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবা সিদ্দিকির হত্যার পর থেকেই শিব কুমার পলাতক ছিল। নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) এবং মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের যৌথ অভিযানে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়।
সূত্রের খবর, একটি ৯.৯ মিমি পিস্তল ব্যবহার করে বাবার সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়েছিল। গত ১২ অক্টোবর বান্দ্রা ইস্টে ছেলে, বিধায়ক জিশান সিদ্দিকির অফিসের সামনে মোট ছয় রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এই হত্যাকাণ্ডে মোট তিনজন শ্যুটার জড়িত ছিল, যাদের সবাইকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শিব কুমার ছাড়াও আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, এরা শিব কুমারকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং তাকে নেপালে পালাতে সাহায্য করছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের সময়, শিব কুমার স্বীকার করেছে যে সে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ঘটনার পরের দিনই গ্যাংয়ের একজন সদস্য বাবা সিদ্দিকির হত্যার দায় স্বীকার করেছিল।
শিব কুমার জানায়, এই হত্যাকাণ্ড লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই, অনমোল বিষ্ণোইয়ের নির্দেশে করা হয়েছে। তার সঙ্গে অনমোল বিষ্ণোইয়ের একাধিকবার কথা হয়েছে। আর এই কথাবার্তায় মধ্যস্থতাকারী হিসাবে শুভম লোনকারের নাম উঠে আসছে। এই শুভম লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।
মুম্বই পুলিশ আগে জানিয়েছিল যে, অনমোল বিষ্ণোই বাবার সিদ্দিকির হত্যার আগে শ্যুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পুলিশ আরও জানায়, অনমোল বিষ্ণোই Snapchat-এর মাধ্যমে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং বাবার সিদ্দিকির ছেলে জিশানের ছবি শ্যুটারদের সঙ্গে শেয়ার করেছিল।
'ভানু' নামেও পরিচিত অনমোল বিষ্ণোই। জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তাঁকে গত বছর কেনিয়াতে এবং এই বছর কানাডায় দেখা গিয়েছে।
অভিনেতা সলমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় এবং ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার সঙ্গেও অনমোল বিষ্ণোই যুক্ত বলে মনে করা হয়।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় অনমোল বিষ্ণোইয়ের নাম আছে। তার হদিশ দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।