দিল্লিতে ফের হাড়হিম করা ঘটনা। রাজধানীর পাণ্ডবনগরে ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। অভিযোগ, স্বামীকে খুন করে মহিলা। তার সঙ্গ দেয় ছেলেও। তারপর দুজনে মিলে মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখে। প্রতিদিন পাশের মাঠে দেহের টুকরো ফেলে আসত। পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পুনম ও তার ছেলে দীপক খুন করে। পুনম প্রথমে তার স্বামী অঞ্জন দাসকে ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করে। তারপর ছেলে দীপকের সাহায্যে খুন করে। এরপর তারা দুজনে অঞ্জন দাসের মৃতদেহ কেটে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে। সেই টুকরোগুলি বাড়ির কাছেই একটি মাঠে ফেলে দিত।
আরও পড়ুন : DA West Bengal- Supreme Court : ডিএ নিয়ে আপডেট, আজই সুখবর পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা?
এই মামলায় পুনম ও দীপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে খুনের তদন্তের সমাধান করে।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে দিল্লি পুলিশ পূর্বাঞ্চলের পাণ্ডবনগর থেকে কিছু দেহাংশ পায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে। দেখা যায়, যেখান থেকে দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল সেখানে একজন মহিলা ও যুবক হাতে ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজনকভাবে সেখানে ঘোরাফেরা করছে। তখন পুলিশ ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে পুনম ও দীপক জানায়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা। অঞ্জন দাসের অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। যার জেরে বাড়িতে ঝগড়া হতো। তা চরম মাত্রায় ওঠে। এরপরই অঞ্জনকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। পরিকল্পনা করে খুন করে।
এই ঘটনাকে অনেকেই শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মতো বলছেন। দিল্লির মেহরাউলিতে একটি ফ্ল্যাটে আফতাবের সাথে থাকত শ্রদ্ধা। ১৮ মে আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ। আফতাবের ভাষ্যমতে, শ্রদ্ধা ও তার মধ্যে বিরোধ হয়, এরপর সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করে। এরপর আফতাব শ্রদ্ধার শরীরকে ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর প্রতিদিন ঘর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় টুকরো টুকরো করে ফেলে আসত। বিষয়টি সামনে আসার পর ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।