দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনার ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূল অভিযুক্ত আফতাব পুনেওয়ালার বিরুদ্ধে ৬ হাজার ৬০ পাতার চার্জশিট পেশ দিল্লি পুলিশের। আর সেই চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে উঠে হাড়হিম করা তথ্য।
চার্জশিটে উল্লেখ, সে শুধু শ্রদ্ধার সঙ্গেই নয়। অন্য একটি মেয়ের সঙ্গেও প্রতারণা করছিল। এমনকী শ্রদ্ধাকে হত্যার পর তার শরীরের নানা অংশ ফ্রিজে রাখার পর সেই ফ্ল্যাটেই আর এক বান্ধবীকে এনেছিল। একবার নয়, একাধিকবার।
দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে উল্লেখ, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে হত্যার পর আফতাব ২৪ মে বাম্বল অ্যাপের মাধ্যমে অন্য একটি মেয়ের সংস্পর্শে আসে। দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়। ২৫ জুন আফতাবের ছতরপুরের ফ্ল্যাটে ওই যুবতী প্রথম আসেন।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ, সেই যুবতী যখন ফ্ল্যাটে আসেন তখন শ্রদ্ধার মৃতদেহের টুকরো ফ্রিজেই ছিল। ২৫ জুনের পর থেকে ওই যুবতী একটানা আফতাবের ফ্ল্যাটে আসতেন। এমনকী তিনি ওই ফ্ল্যাটে আফতাবের সঙ্গে অনেক রাত কাটিয়েছেন।
পুলিশ চার্জশিটে আরও জানিয়েছে, খুনের পরে শ্রদ্ধার হাড় গুঁড়ো করতে স্টোন গ্রাইন্ডার ব্যবহার করেছিল আফতাব। তারপর প্রেমিকার হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়। শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে এসেছিল আফতাব। সবশেষে ফেলেছিল শ্রদ্ধার মাথা।
শ্রদ্ধার দেহাংশ বারবার বিভিন্ন জায়গায় রাখা থাকত ?
আফতাব পুলিশকে জানিয়েছে, নতুনন বান্ধবী যখন ফ্ল্যাটে আসত, তখন সে ফ্রিজ থেকে শ্রদ্ধার শরীরের টুকরোগুলো বের করে রান্নাঘরের নিচের কেবিনেটে রেখে ফ্রিজ পরিষ্কার করত। মেয়েটি ফ্ল্যাট থেকে চলে যাওয়ার পর সে আবার রান্নাঘর থেকে শ্রদ্ধার লাশের টুকরোগুলো বের করে ফ্রিজে রাখত।
আফতাব এও জানিয়েছে, সে অন্য বান্ধবীকে শ্রদ্ধার রূপার আংটি উপহার দিয়েছিল। আফতাব শ্রদ্ধার হাত থেকে সেই আংটিটি নিয়ে অন্য মেয়েটিকে দেয়। পুলিশ ওই বান্ধবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে।