শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যকাণ্ডে তদন্তের গতি আরও বাড়াল দিল্লি পুলিশ। এবার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ফ্ল্যাটে গেলেন পুলিশ কর্মীরা। সেখানে কীভাবে শ্রদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল, কীভাবে তাঁর দেহের ৩৫টি টুকরো করা হয়েছিল কিংবা সেগুলি কোথায় রাখা হয়েছিল, সেই গোটা ঘটনার পুনর্গছন করা হবে। এর মাধ্যমে পুলিশ আরও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহের টুকরো উদ্ধারের জন্য টানা ৬ দিন মেহরৌলির জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এছাড়া শ্রদ্ধা ওয়ালকারের বন্ধু রাহুল ও গডউইনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি গুরুগ্রামেও চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তাছাড়া ঘটনায় আজ ভাসাইয়ের ইউনিক পার্কের ওই বিল্ডিং আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ, যেখানে আফতাবের পরিবার থাকে।
আফতাবের বাড়ির বাইরে ভিড়
ইতিমধ্যেই তদন্তের জন্য আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বাড়িতে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিশ। আফতাবের বাড়ির বাইরে ভিড় উৎসাহী জনতার। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ওই বাড়ির সামনে ভিড় লেগে রয়েছে মানুষের। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ
এদিকে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলার তদন্তে নেমে আফতাবের একটি সিসিটিভি ফুটেজও পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। যদিও সেই ফুটেজটি ১৮ অক্টোবরের। তাতে আফতাবের হাতে একটি ব্যাগ দেখা যাচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ, আফতাব ১৮ অক্টোবর শ্রদ্ধার বিকৃত দেহের অবশিষ্ট অংশগুলি ফেলতে গিয়েছিল। প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজে আফতাবকে তিনবার আসা যাওয়া করতে দেখা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহের ১৩টি টুকরো উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে শ্রদ্ধার মাথা এখনও পাননি তদন্তকারীরা। পাওয়া যায়িন তাঁর ফোনও। এছাড়া যে কড়াত দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল, সেটিও এখনও উদ্ধার করত পারেনি পুলিশ। তবে অভিযুক্তের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকী Bumble অ্যাপের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারে পুলিশ। সেক্ষত্রে আফতাব আর কোন কোন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল তাও জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন - দেখতে ছোট হলেও আটকে দেয় ক্যান্সার, রইল কুলের ৭ উপকার