উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের তিওয়ারিপুর থানা এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। একটি মেয়ে গত ৩ মাস ধরে তার বাবা-মাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ দিচ্ছিল। এরপর তার বাবা-মা ঘুমিয়ে পড়লে সে তার প্রেমিককে বাড়িতে ডাকত। মেয়েটির বাবার কিছু সন্দেহ হলে ওষুধ না খেয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়েন। রাতে আওয়াজ শুনে তারা উঠে মেয়ের প্রেমিককে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় এলাকার লোকজনও এসে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি মিমাংসা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে তিওয়ারিপুর থানার আধিয়ারিবাগ এলাকায়। এখানে বিলন্দপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর পরকীয়া চলছিল। গত তিন মাস ধরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে খাবারে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিত। এরপর রাতে প্রেমিককে বাড়িতে ডাকত। এলাকার লোকজনের কিছু সন্দেহ হলে তারা মেয়েটির বাবা-মাকে খবর দেয়।
এভাবেই ধরা পড়ল মেয়ের প্রেমিক। এর পর মেয়েটি আবারও তার বাবা-মাকে ঘুমের ওষুধ দিলেও তারা না খেয়ে কম্বল ঢেকে ঘুমের ভান করে। এরপর রাতে মেয়ের প্রেমিক বাড়িতে এলে মেয়ের বাবা তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। শোরগোল শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। এরপর ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষকে শান্ত করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এ বিষয়ে তিওয়ারিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিষয়টি শান্ত করে। এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।