Advertisement

Sonarpur Mob Lynching: সোনারপুরে গণপিটুনিতে মর্মান্তিক মৃত্যু, গ্রেফতার TMC নেতা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম রঞ্জিত মণ্ডল (৩৫)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্ত এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

সোনারপুরে গণপিটুনিতে মৃত্য়ু।সোনারপুরে গণপিটুনিতে মৃত্য়ু।
Aajtak Bangla
  • সোনারপুর,
  • 10 Oct 2025,
  • अपडेटेड 11:23 AM IST
  • দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।
  • মৃতের নাম রঞ্জিত মণ্ডল (৩৫)।
  • ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম রঞ্জিত মণ্ডল (৩৫)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্ত এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তীব্র তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার অন্তর্গত শীতলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় রঞ্জিত মণ্ডল স্থানীয় এক দোকানে যান। দোকানের মালিক সন্তোষ জানার অভিযোগ, রঞ্জিত তাঁকে বলেন, এক অসুস্থ ব্যক্তির জন্য ওষুধ আনতে হবে। তাই তাঁর সাইকেলটি কিছুক্ষণের জন্য ধার নিতে চান। সন্তোষবাবু তাতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু ঘণ্টা দু’য়েক পর রঞ্জিত ফিরে এলেও সাইকেল ফেরত দেননি।

সন্তোষ জানা বলেন, 'আমি ওকে জিজ্ঞাসা করি সাইকেলটা কোথায়? তখন বলে, কোন সাইকেল? আমি বলি, তুমি তো আমার দোকান থেকে সাইকেল নিয়ে গিয়েছিলে। তখন অস্বীকার করে। উল্টে গালাগালি শুরু করে।' এদিকে এই ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণ রায়। অভিযোগ, এরপরই রঞ্জিতের সঙ্গে তারও বচসা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সেটা হাতাহাতিতে পরিণত হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, সেই রাতেই রঞ্জিতকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সুভাষগ্রাম হাসপাতাল, তারপর চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোনারপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। যদিও বাকি অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে। বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।  

অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।  

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement