Tangra Murder: বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে শহরের ফের হত্যাকাণ্ড। ট্যাংরায় মধ্যবয়সী এক মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের তির ওই মহিলারই পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কী অভিযোগ
মৃতের নাম গীতা মণ্ডল। ট্যাংরার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দা তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরই পড়শি ননদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন গীতা। স্থানীয়দের দাবি, সেই জমি নিয়ে ননদের পরিবারের সঙ্গে গীতার মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হত। বহুদিন পরেও সেই মীমাংসা হয়নি। বুধবার সন্ধ্যায় ফের দু পক্ষের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ তখনই, গীতাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগের তির গীতার ননদ, ননদের ছেলে এবং ননদের বৌমার বিরুদ্ধে। এর পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় গীতাকে স্থানীয় একটি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তদন্তে পুলিশ
ইতিমধ্যে মৃত গীতা দেবীর ছেলে থানায় ওই তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এলাকা সূত্রে খবর, মৃত প্রৌঢ়াকে প্রায়ই ভয় দেখাত ননদের পরিবার। বুধবার সন্ধ্যায় পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যায়। তখনই আচমকা ননদের ছেলে এবং বৌমা লাঠি নিয়ে চড়াও হয় গীতার উপরে। বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে সেই অবস্থায় গীতাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে গীতার মৃত্যু হয়। মাত্র কয়েকদিন আগেই বাগুইআটিতে দুই স্কুল ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তা ঘিরে উত্তাল হয়েছে শহর। সাসপেন্ড হয়েছে থানার ওসি-ও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শহরে এক মহিলাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল।