Dhupguri Murder Case: ডুয়ার্সের জলপাইগুড়িতে এক বৃদ্ধার বস্তাবন্দি মৃতদেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃত বৃদ্ধা ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সন্দেহ তন্ত্রসাধনার বলি হয়েছেন তিনি। অভিযোগে দুজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় তন্ত্রের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কের পরিবেশ ছড়িয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
শনিবার সকালে ধূপগুড়ি পুরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে উদ্ধার হল বস্তা বন্দি এক বৃদ্ধার মৃতদেহ। দেহটি উদ্ধার হয় সূর্যসেন কলোনিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার নাম পুষ্পা গাইন। বয়স ৭৩ বছর। এদিন সকালে রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। বৃদ্ধার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান করা হচ্ছে মৃত্যুর পেছনে কোনও তন্ত্রসাধনার ঘটনাও থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা শুক্রবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন। তারপর আর ফেরেননি। এদিন সকালে রাস্তার পাশে প্রতিবেশীর একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। তার মধ্যে কোনও মহিলার পা বেরিয়েছিল বলে দেখা যায়। এরপরই আতঙ্ক ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। পুলিশ এসে বস্তার ভিতর থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার গলা এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কপাল থেকে চামড়াও তুলে নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার সময় তাঁর গায়ে বেশ কিছু সোনার গয়না ছিল। সেগুলিও মৃতদেহে ছিল না বলে দাবি পরিবারের।
এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এক যুবককে আটকও করা হয়। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ আরও এক যুবককে শণাক্ত করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপর অভিযুক্ত ও গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে ভাই। তারা দীর্ঘদিন থেকে তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত। এর আগেও এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তখনও অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছিল।