মাদকে মুক্তি নেই শহরের
মাদক থেকে মুক্তি নেই শিলিগুড়ির। সেফ করিডরে এখন মাদকের রমরমা। ফের একবার মাদক পাচারে বড়সড় সাফল্য পেল এনজেপি থানার পুলিশের। বাজেয়াপ্ত দুটি গাড়ি সহ লক্ষাধিক টাকার গাঁজা। ঘটনায় ধৃত ৩ জন।
তিনজন গ্রেফতার
ফের একবার বড়সড় সাফল্য পেল এনজেপি থানার পুলিশ। বুধবার গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ফুলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। এরপর সেখানে দুটি ছোট গাড়ি আটক করে। এবং আটক করে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে গাঁজা। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম চন্দন রায়,শম্ভু দাস ও স্বপন রায়। তিনজনই জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।
কোচবিহার থেকে বিহারে
নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে দুটি গাড়ি থেকে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। উদ্ধার হওয়া গাঁজাগুলো কোচবিহার থেকে বিহারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
পুলিশি তদন্ত শুরু
তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। যদিও তদন্তের স্বার্থে আদালতে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।
রাতের ঘুম উড়েছে পুলিশের
একের পর এক ঘটনায় শিলিগুড়ি পুলিশের রাতের ঘুম কেড়েছে। বিশেষ করে এনজেপি থানা এলাকা পাল্লা দিয়ে অপরাধের ডেরা হয়ে উঠেছে। যত পুলিশি ধরপাকড় বাড়ছে, ততই দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা। বিগত কয়েক মাসে শুধু নেশার দ্রব্যের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র, বাইক পাচারের চক্র ফাঁস করেছে পুলিশ। তৈরি হয়েছে বিশেষ টাস্ক ফোর্স।
দুদিনে উপর্যুপরি গাঁজা উদ্ধার
গত মঙ্গলবারই ১৫৬ কিলো অর্থাৎ প্রায় ২১ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই আবারও প্রায় ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করল এনজেপি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। যার বাজার মুল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।