Bishnupur Shootout Tmc Leader Dead: ভরসন্ধেয় খুন তৃণমূল নেতা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল তৃণমূলের বুথ সভাপতির। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের দুর্গাবাটি এলাকা। কী কারণে খুন হলেন তৃণমূল বুথ সভাপতি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, নিহতের নাম সাধন মন্ডল। বিষ্ণুপরের আন্ধারমানিক পঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল সভাপতি ছিলেন তিনি। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ এলাকারই একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাধন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাইপো-সহ আরও বেশ কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে ছিলেন সাধন ও তার সঙ্গীরা। সেই সময় বাইকে চড়ে আসে ৩ দুষ্কৃতী। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঢুকে পড়ে চায়ের দোকানে! বাকিরা তখন ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতা সাধন মন্ডল লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটি লুটিয়ে পড়েন তিনি। শেষপর্যন্ত চিৎকার শুনে যখন আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন, ততক্ষণে হামলাকারী চম্পট দিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির পিন্টু সর্দারের দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই এই খুন। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ করেছেন বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দুর্গাবাটির বুথ সভাপতি সাধন পেশায় দিনমজুর। রবিবার সন্ধ্যায় এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। সেখানে আচমকা একটি মোটর বাইক এসে দাঁড়ায়। মুখ ঢেকে রাখা তিন দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে প্রায় ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি লাগে তৃণমূল নেতার মাথায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলি চালিয়েই চম্পট দেয় তিন জন। গুলি চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।