Advertisement

কলকাতার মুসলিম মেয়েকে বিয়ে, মেনে নিতে না পারায় মা-বাবাকে কেটে নদীতে ভাসাল হিন্দু যুবক

মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছিল হিন্দু যুবক। তা মেনে নিতে পারেনি মা-বাবা। আর তার জেরে অশান্তির পরই দম্পতিকে খুন সন্তানের। খুনের পর দেহ করাত দিয়ে কেটে সিমেন্টের বস্তায় ভরে তা গোমতী নদীতে ভাসিয়ে দেয় সে

অভিযুক্ত যুবক অভিযুক্ত যুবক
Aajtak Bangla
  • জৌনপুর ,
  • 18 Dec 2025,
  • अपडेटेड 4:19 PM IST
  • মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছিল হিন্দু যুবক
  • তা মেনে নিতে পারেনি মা-বাবা

মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছিল হিন্দু যুবক। তা মেনে নিতে পারেনি মা-বাবা। আর তার জেরে অশান্তির পরই দম্পতিকে খুন সন্তানের। খুনের পর দেহ করাত দিয়ে কেটে সিমেন্টের বস্তায় ভরে তা গোমতী নদীতে ভাসিয়ে দেয় সে। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের। 

উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে থাকতেন ওই দম্পতি। তাঁদের ছেলে অম্বেশ ও মেয়ের নাম বন্দনা। গত বৃহস্পতিবার ওই দম্পতি নিখোঁজ হয়ে যান। অবশেষে গত ১৩ ডিসেম্বর দ্বারস্থ হন থানায়। দায়ের করেন মিসিং ডায়েরি। এরপর তদন্তে নেমে ওই প্রৌঢ় দম্পত্তির এক সন্তানের হদিশ পান তদন্তকারীরা। নাম অম্বেশ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অম্বেশ। সে জানিয়েছে কীভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করে বাবা-মা'কে। 

অম্বেশ জেরায় জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর মা ববিতা (৬৩)-এর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। বাবা শ্যাম বাহাদুর (৬৫) চিৎকার করতে থাকে। তখন সে বাবাকেও খুন করে। শ্বাসরোধ করে। 

খুনের পর অভিযুক্ত বাড়ির বেসমেন্টে রাখা করাত দিয়ে মৃতদেহগুলিকে টুকরো টুকরো করে কাটে। তারপর সে দেহাবশেষ ছয়টি সিমেন্টের ব্যাগে ভরে জামা-কাপড় থেকে রক্তের দাগ পরিষ্কার করে। এবার অম্বেশ গাড়িতে ব্যাগগুলি ভরে বেশিরভাগই গোমতী নদীতে ফেলে দেয়। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বৃদ্ধ দম্পতির মেয়ে বন্দনা তাঁর বাবা-মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ১৩ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন। ১৫ ডিসেম্বর আম্বেশকে খুঁজে পাওয়া যায়। গ্রেফতার করা হয়। সে জেরার মুখে অনেক তথ্য সামনে আনে। 

তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন, কোভিডের সময় অম্বেশ কলকাতার এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। তবে, এই বিয়ে মেনে নিচে পারেননি যুবকের পরিবার। তা নিয়ে দুই পরিবারে অশান্তিও হত। অম্বেশের স্ত্রী ভরণপোষণ দাবি করতে শুরু করে স্বামীকে বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনতে বলে। তিনদিন আগে অন্বেশ কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশে ফিরে এসে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। তারপরই অশান্তি হয় ও খুনের ঘটনা। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement