
স্ত্রীকে হত্যা, তাও আবার সুপারি কিলার দিয়ে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের। পুলিশের দাবি তিন সুপারি কিলারদের ১ লাখ টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে খুন করায় রাজু গুপ্তা। ঘটনায় ৫ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, মৃত যুবতী পূজা ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজু গুপ্তর প্রথম স্ত্রী বছর দুয়েক আগে মারা যান। তারপর তিনি বিয়ে করেন পূজাকে। কিন্তু তাঁদের সংসার সুখের হয়নি। দুজনের মধ্যে প্রায় ঝামেলা ও অশান্তি হত। এমনকী হাতাহাতিও হয়েছে একাধিকবার। জেরায় রাজু জানায়, সে পূজার নামে দুটো প্লট কিনেছিল। কিন্তু তাঁকে বাধ্য হয়ে একটা প্লট বিক্রি করে দিতে হয়। তার জেরে অশান্তি চরমে ওঠে। ওই ব্যক্তির দাবি, পূজা মাঝে মাঝে তাঁর উপর অত্যাচার করত। টাকা পয়সা চেয়ে অশান্তি করত। প্রায় ২ বছর ধরে এভাবে চলছিল। তাই সে পূজাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
এসিপি সুজিত কুমার দুবে জানিয়েছেন, রাজু তার স্ত্রীকে খুনের জন্য বন্ধু আনিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাকে জানায়, শাকিল, সর্বেশ এবং রাজেশকে সঙ্গে নিয়ে খুন করবে পূজাকে। এরপর তারা পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক ৩১ অক্টোবর,রাজু তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে সুমনের সঙ্গে পূজার পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর তারা একসঙ্গে কাপুরথলা যাবে বলে রওনা দেয়। সেখান থেকে মাল এলাকার বাশারী মাদওয়ানা গ্রামে যায়। সেখানেই তিন অভিযুক্ত আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। তিনজন পূজাকে একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে। ঘটনাস্থলেই পূজা মারা যায়।
এদিকে পরের দিন সেখান থেকে পাওয়া যায় পূজার ফোন। স্থানীয়রা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্তে নেমে প্রথমেই রাজুকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। সেই জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।
জেরায় রাজু আরও জানায়, সে জানত না পূজা গর্ভবতী। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনাও করে। ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ৩ জনকে ঠিক করে। তারাই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করে। এরপরই পুলিশ বাকি ৩ জনকেও গ্রেফতার করে।