Advertisement

Calcutta High Court: প্রমাণ দিতে পারেনি পুলিশ, ১১ বছর পর বেকসুর খালাস ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ৩ অভিযুক্ত

ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল এমন তিন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। খুনের মামলায় সাজা পায় এই তিন অভিযুক্ত। পুলিশের তদন্তে গাফিলতিতে তথ্য প্রমাণ না মেলায় বেকসুর খালাস করা হল।

কলকাতা হাইকোর্টকলকাতা হাইকোর্ট
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Jul 2025,
  • अपडेटेड 8:51 PM IST

ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল এমন তিন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। খুনের মামলায় সাজা পায় এই তিন অভিযুক্ত। পুলিশের তদন্তে গাফিলতিতে তথ্য প্রমাণ না মেলায় বেকসুর খালাস করা হল।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহঃ শব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ তাদের বেকসুর খালাস করে দেন। আদালত জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। যেকারণে তাদের বেকসুর খালাস করা হয়।

২০১৪ সালের ২০ মে শিয়ালদা রেলওয়ে স্টেশনের পার্কিং লটে বিকেলে দড়ি দিয়ে বাঁধা লেপ, একটা বড় ট্রলি ব্যাগ আর একটা স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। জিআরপি কর্মীরা বিষয়টি শিয়ালদা স্টেশনের থানায় জানান। পুলিশ তদন্তে নেমে ব্যাগ থেকে লেপের ভিতরে একজন মহিলার টুকরো করা মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে জানা যায় মৃতদেহটি জয়ন্তী দেব নামে এক মহিলার। তাঁর বোন দেহটি সনাক্ত করেন। 

জানা যায়, মহিলার সঙ্গে স্বামী সুরজিৎ দেবের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাঁরা আলাদা থাকতেন। ঘটনায় মহিলার স্বামী সুরজিৎ, স্বামীর বান্ধবী লিপিকা পোদ্দার ও সঞ্জয় বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে শিয়ালদা অতিরিক্ত জেলা জজ, ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট ধৃত এই তিনজনকেই ফাঁসির সাজা শোনায়। ২০১৯ সালে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে আপিল করেন। খুনের ঘটনার এক দশক পর বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বেকসুর খালাস করা হয়। 

নিম্ন আদালতে পুলিশ পক্ষের আইনজীবীরা জানান, অভিযুক্ত সঞ্জয় বিশ্বাসকে ডেকে এনে মৃত মহিলার দেহ কেটে টুকরো করার জন্য বাধ্য করেছিল অভিযুক্ত লিপিকা পোদ্দার। কিন্তু খুন কে করেছিল, তার কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি পুলিশ। যে কারণে তাদের বেকসুর খালাস করে কলকাতা হাইকোর্ট।

Read more!
Advertisement
Advertisement