সাইক্লোন তাও তে ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘণ্টার যার গতিবেগ ১৮৫ কিমি পর্যন্ত হবে বলে জানিয়েছে আইএমডি। আরব সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিধঝড় নিয়ে গুজরাত, কেরল, কর্নাটক সহ একাধিক রাজ্যে হাই অ্যালার্ট। কেরল, গোয়া ও কর্নাটকে তাণ্ডব চালিয়ে এবার মুম্বইয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তাও তে।
প্রথমে গোয়ার উপকূলে ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড়টির। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গোয়ার। একাধিক রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়েছে। বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্থ। উদ্ধার কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আলাদা আলাদা রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাও তে-র তাণ্ডবে। সাইক্লোনের প্রভাবে গুজরাত উপকূলে বিস্তীর্ণ এলাকায় আজ ও কাল ভারী বৃষ্টি চলবে। ইতিমধ্যেই NDRF-এর ৫৫টি দল উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে।
গুজরাতের কচ্ছে সাইক্লোনের তাণ্ডবের আশঙ্কায় প্রশাসন ইতিমধ্যেই অ্যালার্ট জারি করেছে। ভারতীয় হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সাইক্লোন তাও তে ল্যান্ডফলে পরে ১৬৫ কিমি পর্যন্ত গতিবেগ বাড়াতে পারে।
আইএমডি জানাচ্ছে, আজ সন্ধ্যায় কিংবা ১৮ মে সকালে গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়বে তাও তে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও খতরনাক হবে সাইক্লোনটি।
ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে ঝোড়ো হাওয়া বৃষ্টি চলছে। প্রচুর গাছ পড়ে গিয়েছে। মুম্বইয়ের ৫টি জায়গায় শেল্টার হোম তৈরি করেছে প্রশাসন। পশ্চিম মুম্বইয়ে এনডিআরএফ-এর তিনটি দল, দমকলের ৬টি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ১১ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করা হয়েছে মুম্বই এয়ারপোর্ট। বন্ধ রাখা হয়েছে মোনোরেলও।
এর আগে গোয়াতে তাণ্ডব চালিয়েছে তাও তে। গোয়ায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। একাধিক গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ১০০টি ঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ঝড়ে। ৫০০টি গাছ পড়ে গিয়েছে। ফলে প্রায় সব রাস্তা বন্ধ। কেরলেও ব্যাপক বৃষ্টি পড়ছে। আলাপ্পুঝায় বৃষ্টির জেরে নীচি এলাকায় জল জমে গিয়েছে।
আইএমডি জানাচ্ছে, ঝড় কবলিত এলাকাগুলিতে ১৮ মে পর্যন্ত ১৫০ থেকে ১৬৫ কিমি বেগে হাওয়া বইবে। গুজরাতে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের ইতিমধ্যেই সুরক্ষিত জায়গায় সরানো হয়েছে।
আইএমডি জানিয়েছে, আজ অর্থাত্ ১৭ মে মুম্বই, উত্তর কঙ্কন, থানে ও পালঘর এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।