দেশে করোনা সংক্রমন বাড়ার মাঝেই বাড়ছে কড়কনাথ মুরগির চাহিদাও। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে আদিবাসী এলাকাগুলিতে পাওয়া যায় কালো রঙের এই মোরগ।
সরকারি আধিকারিকদের বক্তব্য অনুসারে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, কালো মুরগির (কাদাকনাথ) চাহিদা আজকাল অনেক বেড়েছে। যদিও লকডাউনের সময় চাহিদা হ্রাস পেয়েছিল, তবে আনলক পর্বে চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
এই মুরগির পালক, ঝুঁটি, ঠোঁট, নখ, মাংস, হাড় সবই কালো। রক্ত লাল হলেও তাতেও কালচে আভা আছে। ডিম শুধু সাদা। কিন্তু এই কালো ‘কড়কনাথ’ মুরগির শরীরেই অসুখমুক্তির জাদু দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কম চর্বি এবং বেশি প্রোটিনের কারণে এর মাংস হৃৎপিণ্ড, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তাল্পতাজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও উপকারী হিসাবে বিবেচিত হয়।
মধ্য প্রদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে রাজ্য সরকার হাঁস-মুরগির খামার মালিকদের আয়ের পরিমাণ বাড়ানোর লক্ষ্যে এর উৎপাদন ও বিক্রয় বাড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এই জাতের হাঁস-মুরগির উৎপাদন বাড়াতে সমবায়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জাবুয়া, আলিরাজপুর, বরওয়ানি এবং ধর জেলার নিবন্ধিত ৩০০টি পোল্ট্রি ফার্মে ইতিমধ্যে এর পালন করা হচ্ছে।
জাবুয়ার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান তোমার বলেন, সারা দেশ থেকে পোল্ট্রি মালিকরা কাড়কনাথ ছানা কিনতে আসছেন। তবে করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে এই মুরগির ব্যবহার নিয়ে আলাদা কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা হয়নি। যদিও এই নির্দিষ্ট ধরণের মুরগীতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এবং অন্যান্য পোল্ট্রির তুলনায় ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম। রাজধানী দিল্লিতে এই জাতের একটি মুরগির দাম এখন প্রায় ৮৫০ টাকা।