বর্ষার মরসুম শেষের পথে। দীর্ঘদিন ধরে জালে তেমন মাছই ওঠেনি। তাই কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই গভীর সমুদ্র গিয়েছিলেন মাঝিরা। ফিরতেই হতবাক কাণ্ড।
মহারাষ্ট্রে পালগরের মৎস্যজীবী চন্দ্রকান্ত তারে আরও ৮ জন সহযোগীকে নিয়ে আগস্টের ২৬ তারিখ গভীর সমুদ্রে যান মাছ ধরতে। কিন্তু তাঁরা ভাবতেই পারেননি এই যাত্রার পরেই ভাগ্য বদলাতে চলেছে তাঁদের।
১৫৭টি ঘোল মাছ ধরা পড়ে তাঁদের জালে। অনেকে এই মাছটিকে সমুদ্রের সোনা নামেও ডাকে। সেই মাছই বিক্রি হয় কোটি কোটি টাকায়।
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ব্যবসায়ীরা মোট ১.৩৩ কোটি টাকায় মাছগুলি কিনে নেয়। এই মাছের দেহাংশ দিয়ে জীবনদায়ী ওষুধ, কসমেটিক্স এবং অস্ত্রোপচারের সময়ে কাজে লাগে।
হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর মালেয়াশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলিতে এই মাছের বিরাট চাহিদা রয়েছে। মাছটি বিজ্ঞানসম্মত নাম Protonibea Diacanthus।
জানা গিয়েছে, মাছটি খুবই দুর্লভ। খুব কমই সমুদ্রে দেখা যায়। কোনওভাবেই ওই জেলেদের কাছে এই মাছ চলে এসেছিল। তখনই জালে ধরা পড়ে ঘোল মাছগুলি।
এই মাছ ধরে রাতারাতি ভাগ্য বদলে গিয়েছে মৎস্যজীবীদের। গোটা মরসুমে তেমন মাছ ধরা পড়েনি। এখন এতো টাকাও পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের মুখে খুশির হাওয়া।