অল উওম্যান শো। ভারবহণ থেকে ট্রেন চালানো, এমনকী স্টেশন পরিচালনার মতো গুরুতর দায়িত্ব পালন - এক কথায় পেশি থেকে মগজ, কোনও কিছুতেই পিছিয়ে নেই মহিলারা। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমনই বার্তা দিল ভারতীয় রেল। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলা পরিচালিত স্টেশনগুলির নাম প্রকাশ করল ভারতীয় রেল। যেখানে ভিড়ে ভরা প্ল্যাটফর্মে বিরাট মাপের ব্যাগ কাঁধে এগিয়ে চলতে দেখা যায় মহিলা কুলিকে। এমন ভাবেই নারীর ক্ষমতায়নকে সব স্তরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে রেল।
'কঠিন' পরিস্থিতিতে রেলকর্মী মহিলাদের কাজ করতে হয়! আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ভারতীয় রেল দেখিয়ে দিল পেশি থেকে মগজ - যে কোনও জায়গাতেই সমান স্বচ্ছন্দ মহিলারা। দেশের মহিলা পরিচালিত রেল স্টেশনগুলির নাম প্রকাশ করল ভারতীয় রেল
২০১৮ সাল থেকেই দেশের প্রথম সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত রেল স্টেশন হিসেবে কাজ করা শুরু করে পিঙ্ক সিটির গান্ধী নগর স্টেশন। রাজস্থানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন গান্ধীনগর। প্রতিদিন এখানে প্রায় ৭০০০ যাত্রীর সমাগম হয়। আর যে ৫০টি দূরপাল্লার ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে যায়, তার মধ্যে ২৫টিই এই স্টেশনে দাঁড়ায়। স্টেশন সুপার থেকে হেড টিকিট কালেক্টর, স্টেশন মাস্টার থেকে টিকিট রিজার্ভেশন ক্লার্ক, RPF কনস্টেবল থেকে কুলি - সব ক্ষেত্রেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মহিলারা।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের রাঁচি স্টেশনটিও সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত।
মহিলা পরিচালিত আরেকটি স্টেশন হল কানপুরের কাছে প্রয়াগরাজ ডিভিশনের গোবিন্দপুরি স্টেশনটিও। এটা উত্তর-মধ্য রেলপথের অন্তর্ভুক্ত।
মহিলা পরিচালিত আরেকটি স্টেশন জব্বলপুর ডিভিশনের মদন মহল স্টেশন।
মুম্বই সেন্ট্রালের মাতুঙ্গা রেল স্টেশনটিও সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত। সেইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের নাগপুর ডিভিশনের আজনি রেলস্টেশনটিও মহিলা পরিচালিত।
লখনউয়ের বাদশানগর রেল স্টেশনটিও মহিলা কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত। এটি লখনউ ডিভিশনের অন্তর্গত।
দক্ষিণ-মধ্য রেলের মহিলা পরিচালিত স্টেশেনর সংখ্যা ৪। এগুলি হল বিদ্যানগর, চন্দ্রগিরি, বেগমপেট এবং রামবড়পদু।
এই বাংলার মাটিতেও রয়েছে মহিলা পরিচালিত রেলস্টেশন। কাটিহার ভিডিশনের শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনটি সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত। এটি উত্তর সীমান্ত রেলপথের অন্তর্গত।স্টেশন ম্যানেজারের থেকে রেল সুরক্ষা বাহিনী হয়ে স্টেশনের কর্মীরা সকলেই মহিলা এই স্টেশনেও।