সিকিমে তুষারপাত অব্যাহত। ফলে রাস্তা ঘাট, বিভিন্ন এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মরশুমে লাগাতার তুষারপাতে টানা জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের আগাম সতর্কতা বার্তার ফলে, গতকাল সিকিমের উত্তর প্রান্তের লাচেন, লাচুং সহ ছাঙ্গু লেক প্রচন্ডভাবে তুষারপাত হওয়ার ফলে পর্যটকদের জন্য় এই সমস্ত জায়গায় যাওয়ার পারমিট আপাতত স্থগিত করল সিকিম পর্যটন বিভাগ।
গতকাল সিকিম পুলিশ, পর্যটন দপ্তরের আধিকারিক সহ সিকিমের পর্যটন ব্যবসার স্টেক হোল্ডার সবাই বিভিন্ন পর্যটন জায়গায় বাস্তব পরিস্থিতি দেখে এসে তথ্য দেন প্রশাসনকে।
যে এই মুহূর্তে আগামী ৯ ও ১০ দিন পযন্ত, ওই সমস্ত রাস্তায় কোনওভাবেই যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। বরফের মাত্রা এতই বেশি যে কোনও ভাবেই এই এলাকায় পর্যটকদের যাওয়া আপাতত সম্ভব নয় ।
ফলে আগামী বেশ কিছুদিন টুরিস্ট পারমিট দেওয়া বন্ধ রাখলো বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। পরবর্তী পরস্থিতি খতিয়ে দেখে কিছুদিন পর ফের পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উক্ত বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সিকিম পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত স্টেকহোল্ডার স্ত্রী ফুরবা শেরপা জানান যে পরিমাণে এই অঞ্চলে তুষারপাত হয়েছে, তাতে কোনও ভাবেই পর্যটকদের জন্য এই পথ নিরাপদ নয়।
তার ফলে বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আপাতত উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং সহ বাবা মন্দির ছাঙ্গু লেকে বরফ দেখার জন্য পর্যটকদের পারমিট দেওয়ার উপর স্থগিত আদেশ জারি করেছে সিকিম পর্যটন বিভাগ।
পাশাপাশি ফুরবাবাবু জানিয়েছেন, যেভাবে সিকিমকে সাদা চাদরে মুড়ে ফেলেছে, এই নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার জন্য আমরা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আহ্বান জানাচ্ছি । আসুন দেখে যান সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।
চলতি মরশুমে একাধিকবার তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিং পাহাড় ও সিকিমে। অতীতের বহুদিনের রেকর্ড ভেঙে এবার তুমুল তুষারপাত হয়েছে।
যা দেখতে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে পাহাড়ে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটনের জন্য বিধিনিষেধ ছিল পশ্চিমবঙ্গে। ফলে তুষারপাতের প্রথমদিকে দার্জিলিংয়ে যাননি অনেকে।
সেই সময় সিকিম খোলা রাখায় অনেকে সিকিমের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ফলে তুষার পর্যটনের সমস্ত লাভটাই দার্জিলিং বাদ দিয়ে সিকিমের ঘরে গিয়েছে। তবে এখন কয়েকদিন দুর্গম কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকলেও খোলা থাকবে সাধারণ জায়গাগুলি।