বঙ্গে ভোট শান্তিপূর্ণ করতে আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বাংলায় পাঠানো হচ্ছে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার নির্যাস, প্রথম দফার ভোট অর্থাত্ ১৯ এপ্রিলের আগেই মোট ২৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে পশ্চিমবঙ্গে। ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সংখ্যা থাকে ৮০ থেকে ১০০ জন। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান প্রত্যেক কোম্পানিতে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, নতুন করে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ৫৫ কোম্পানি সিআরপিএফ ও ৪৫ কোম্পানি সীমান্তরক্ষী বাহিনী থাকছে। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে গেলে প্রায় ৩৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। তারপরেও প্রশ্ন থাকছে, সব বুথে বাহিনী মোতায়েন করার মতো পর্যাপ্ত জওয়ান থাকছেন কি না। সে ক্ষেত্রে ধরেই নেওয়া যায়, আরও বাহিনী পরবর্তীতে আসতে পারে। লোকসভা ভোটে গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলাতেই। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। এলাকা পরিদর্শন এবং ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত মদ, মাদক, নগদ, দামী ধাতু মিলিয়ে ১৯৯.৫৫ কোটি টাকার জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভোট হবে। কমিশনের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, বর্তমানে ১৭৭ কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা হয়ে গিয়েছে। আরও ১০০ কোম্পানি বুধবারের মধ্যেই চলে আসবে। প্রথম দফার ভোটে মোট ২৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে রাজ্যে। প্রথম দফার ভোটে বাহিনীর সঙ্গে পুলিশও থাকবে বুথগুলিতে।
সোমবার বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনের পরে আরও তিন মাস রাখা উচিত। নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ভোট-পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তা করবে, যার ফলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে প্রচুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তাঁর বক্তব্য, যে তিনি এই দাবি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেবেন।