অসমের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নষ্ট এক হাজারের মতো কোভ্যাক্সিন। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি করোনা ভ্যাকসিনই জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটির জেরে মাইনাস তাপমাত্রায় চলে যায়। ফলে কোভ্যাক্সিনগুলি জমাট বেধে যায়। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা।
কীভাবেই এই ঘটনা
এক স্বাস্থ্যকর্তাকে জানান, কোভ্যাক্সিন গুলি সংরক্ষণ করার জন্য বিশেষ তাপমাত্রার সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়। সাধারণত ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই তাপমাত্রা রাখতে হয়। কোনও কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করলে সেটা থেকে মেসেজ চলে আসে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে। কিন্তু তাপমাত্রা আচমকা মাইনাসে নেমে যাওয়ার পরেও কোনও মেসেজ আসেনি। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতেই পারেনি প্রথমে। পরে দেখা যায় হাজারটির মতো ডোজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, দেশজুড়ে ১৬ থেকে শুরু টিকাকরণ! মোদী বললেন, 'গুজব যাতে না ছড়ায় তার দায়িত্ব রাজ্যগুলির'
রিপোর্ট তলব
ইতিমধ্যে অসমের স্বাস্থ্য দফতর প্রায় হাজারটা ডোজ পাঠিয়েছে সেই হাসপাতালে। পাশাপাশি ঘটনার জন্য রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে করোনা টিকা পাবেন দেশজুড়ে ফ্রন্টলাইন হেলফ কর্মীরা। তারপরের ধাপে দেওয়া হবে প্রবীণদের। সেই মতো গোটা দেশে ১৬ তারিখ থেকেই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতার বাগবাজারে সংরক্ষিত রয়েছে করোনা টিকা। বাংলাতেও চলেছে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি।
নষ্ট কোভিড টিকা
করোনার টিকা রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এই জন্য প্রয়োজন ২-৮ ডিগ্রি মতো সেলসিয়াসের তাপমাত্রা। শিলচরের ওই হাসপাতালে এই প্রযুক্তি ছিল। তাই আগে থেকে সেখানে সংরক্ষণ করা ছিল। কিন্তু দেখা যায় প্রায় হাজারটির মতো ডোজ কার্যত জমে গিয়েছে। ওই ডোজগুলি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়। তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে গিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও গোটা ঘটনার নেপথ্যে প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড, এই দুটো টিকাকে করোনা ভ্যাকসিন হিসাবে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে করোনা টিকা বণ্টন করা হয়েছে প্রথম ধাপে।