ছত্তিশগড়ে নকশাল দমনে বড়সড় সাফল্য। শনিবার সকালে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় কমপক্ষে ১৬ জন নকশালকে নিকেশ করেছে যৌথ বাহিনী। গুলির লড়াই বাহিনীর দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। কেরলাপাল এলাকায় নকশালরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়। জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্যদের নিয়ে গঠিত যৌথ দল শুক্রবার রাতেই নকশালবিরোধী অভিযানে নামে। সকালে বাহিনীকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে নকশালরা। কয়েক ঘণ্টা গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় ১৬ জন নকশাল। আহত দুই জওয়ানকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দান্তেওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন নকশাল নিহত হয়। এদের মধ্যে মাওবাদী সুধীর ওরফে সুধাকর ওরফে মুরালিও ছিল, যার মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে INSAS রাইফেল, 303 রাইফেল-সহ প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানান, দান্তেওয়াড়া এবং বিজাপুর জেলার সীমান্তে অবস্থিত গিদাম থানা এলাকার গিরসাপাড়া, নেলগোদা, বোদগা এবং ইকেলি সীমান্তবর্তী এলাকায় নকশালদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এর পরে, ডিআরজি এবং বস্তার ফাইটারদের দল নকশালবিরোধী অভিযানে যায়। নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখে নকশালরা গুলি চালাতে শুরু করে। এর পরে পাল্টা গুলি চালানোর সময় ঘটনাস্থলেই তিন নকশাল নিহত হয়। তাদের মধ্যে একজন সুধীর ওরফে সুধাকর ওরফে মুরালি নামে পরিচিত, যার মাথায় ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশকে আশ্বস্ত করেছেন যে আগামী বছরের ৩১ মার্চের আগেই নকশালরা শেষ হয়ে যাবে। তিনি X-এ লিখেছেন যে আজ আমাদের বাহিনী 'নকশাল-মুক্ত ভারত অভিযান'-এর দিকে আরেকটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর এবং কাঙ্কেরে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি পৃথক অভিযানে নকশালরা নিহত হয়েছে। মোদী সরকার নকশালদের বিরুদ্ধে নির্মম পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আত্মসমর্পণ থেকে শুরু করে অন্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যারা আত্মসমর্পণ করছে না তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ মার্চের আগেই দেশ নকশালমুক্ত হতে চলেছে।