পহেলগাঁও হামলার পরে উপত্যকায় জঙ্গি দমনে আরও সাফল্য মিলল। শোপিয়ান থেকে দুই লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে ২টি একে-৪৬ রাইফেল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি নগদ ৫ হাজার ৪০০ টাকা, আধার কার্ডও বাজয়াপ্ত করা হয়েছে। সেনা, পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত জঙ্গিদের নাম ইরফান বশির ও উজির সালাম।
পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান কোমর বেঁধে শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একাধিক এলাকাজুড়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। পহেলগাঁও হামলার পরও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে।সম্প্রতি কিস্তওয়ারে গুলির লড়াইয়ে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
কিছু দিন আগে, শোপিয়ানে এনকাউন্টার হয়। পুলওয়ামার ত্রালেও গুলির লড়াই চলে। দুই ঘটনায় মোট ছয় জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। তার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। গত ৭ মে মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। ভারতের এই অভিযানে পর্যদুস্ত হয় পাকিস্তান। তার পরই সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের একাধিক শহরকে নিশানা করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামাবাদের সব চক্রান্ত বানচাল করে মোক্ষম জবাব দেয় ভারত।