শেষ ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন কোভিদ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৯১ জন। অন্যদিকে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২০৯ জন। বৃহস্পতিবারের শেষ পাওয়া রিপোর্টে এ খবর জানা গিয়েছে। অন্যদিকে দেশের করোনা সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দু কোটি ৬০ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৯১ জনে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা হয়েছে ২ লক্ষ ৯১ হাজার ৩৩১ জন। তবে সক্রিয় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা কমে ৩০ লক্ষ কুড়ি হাজার পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন ভারত সরকার ২৬৭ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ৫১ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন জুলাই এর মধ্যেই চলে আসার কথা। বাকি ২১৬ কোটি অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে চলে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা সকলে টিকা নিয়ে নিতে পারবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশ, পন্ডিচেরি এবং গোয়ার করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৈঠকে বসেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বৈঠকে সভাপতিত্ব করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। আন্দামান নিকোবরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর, চন্ডীগড়, দাদরা নগর হাভেলি, দমন দিউ, জম্মু-কাশ্মীর লাদাখ এন্ড লাক্ষাদ্বীপ এর প্রতিনিধিরাও বৈঠকে থাকবেন।
পাশাপাশি যাঁরা করোনায় ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের পরবর্তী তিন মাস পরে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরেই টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে সমস্ত মায়েরা স্তন্যপান করান, তাঁদের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে নিতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের তরফে ফাঁকা সিলিন্ডার কিনবে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। অক্সিজেন থাকলেও সিলিন্ডার হাওয়া হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উড়িষ্যায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১২ হাজার ৫৫৩। যেখানে ২৭ জনের মৃত্যুর হিসেব নথিভূক্ত হয়েছে। কর্নাটকে দু'লক্ষ করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই কর্নাটকে এক কোটি ২৪ লক্ষ ২০ হাজার ৫১০ টি টিকা পৌঁছেছে।
এতদিন অরুণাচলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও শেষ ২৪ ঘন্টায় ৩৬০ জন নতুন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। চাঙ্গ লেং, তাওয়াং,লােয়ার সুবন্সিরি, লোয়ার দিবানং ভ্যালি এলাকায় আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছে।