Advertisement

SIR: পশ্চিমবঙ্গে কম করে ৩৪ লক্ষ নাম বাদ পড়তে পারে, কমিশনকে বড় তথ্য দিল UIDAI

রাজ্যের ভোটার তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। রাজ্যের অন্তত ৩৪ লক্ষ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হতে পারে, কারণ আধার ডেটাবেস অনুযায়ী তাঁরা মৃত বলে চিহ্নিত হয়েছেন। ভারতের অনন্য পরিচয় কর্তৃপক্ষ (UIDAI) এই তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।

সঞ্জয় শর্মা
  • দিল্লি,
  • 13 Nov 2025,
  • अपडेटेड 10:35 AM IST
  • রাজ্যের ভোটার তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।
  • রাজ্যের অন্তত ৩৪ লক্ষ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হতে পারে, কারণ আধার ডেটাবেস অনুযায়ী তাঁরা মৃত বলে চিহ্নিত হয়েছেন।

রাজ্যের ভোটার তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। রাজ্যের অন্তত ৩৪ লক্ষ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হতে পারে, কারণ আধার ডেটাবেস অনুযায়ী তাঁরা মৃত বলে চিহ্নিত হয়েছেন। ভারতের অনন্য পরিচয় কর্তৃপক্ষ (UIDAI) এই তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।

৪ নভেম্বর থেকে সারা দেশে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision - SIR)। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল মৃত, অনুপস্থিত, বা ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা। এবং ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করা।

UIDAI-এর রিপোর্ট
UIDAI-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩৪ লক্ষ আধারধারী নাগরিককে 'মৃত' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের প্রায় ১.৩ লক্ষ মানুষের কখনও আধার কার্ড ছিল না, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনিক নথিতে তাঁদের মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে।

এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে UIDAI কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা (CEO) মনোজ কুমার আগরওয়ালের মধ্যে একটি বৈঠকে।

ভুয়ো ও মৃত ভোটারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বহু অভিযোগ পেয়েছে। যেমন ভুয়ো ভোটার, একই নাম, মৃত বা অনুপস্থিত ভোটারদের উপস্থিতি। UIDAI-এর ডেটাবেস এখন সেই সমস্ত এন্ট্রি চিহ্নিত করতে সাহায্য করছে। বুথ-স্তরের কর্মীরা ঘরে ঘরে যাচাই অভিযান চালাচ্ছেন, যাতে মৃত ও অবৈধ ভোটারদের নাম মুছে ফেলা যায়।

নতুন নিয়ম 
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৪ ডিসেম্বর গণনা পর্ব এবং ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর, যদি কারও নাম বাদ যায় এবং তারা ফর্ম জমা দেন, তাহলে তাঁদের নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তা (ERO)-র সামনে হাজির হয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। আধার ডেটাবেসের তথ্যের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হবে।

সঠিক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য, রাজ্যে ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা বজায় রাখা। আধার, ব্যাঙ্ক ও স্থানীয় সংস্থার ডেটা একত্র করে এবার নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে চায়, যাতে কোনও মৃত ব্যক্তি, অবৈধ নাগরিক বা নকল পরিচয়ধারী ভোট দেওয়ার সুযোগ না পান।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement