বছরের প্রথমেই বড়সড় জঙি হানায় রক্তাত্ত হল জম্মু ও কাশ্মীর। রাজৌরিতে জঙ্গিহানায় (Rajouri terror attack) মৃত্যু হল ৪ জনের (Death Count Climbs To 4)। গুরুতর আহত হয়েছেন ৭ জন সাধারণ নাগরিক।
৭টা ১৫ নাগাদ রাজৌরি জেলার একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের কাছে আপার ডাংরি এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। একজন মহিলা এবং একটি শিশু সহ ১০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। মৃত তিনজনের নাম সতীশ (৪৫), দীপক (২৩) এবং প্রীতম (৫৬)৷ বাকিরা রাজৌরির সরকারি মেডিকেল কলেজে (জিএমসি) চিকিৎসাধীন।
ADGP মুকেশ সিং বলেছেন, রাজৌরি জেলার আপার ডাংরি এলাকায় জঙ্গিরা তিনটি বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুরো এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং শীঘ্রই জঙ্গিদের ধরা হবে। গত রাতে রাজৌরি থেকে জম্মুতে দু'জনকে বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছে।
ঘটনার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজৌরির বিভিন্ন এলাকায়। জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে এলাকায় আজ সোমবার বনধ ডেকেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। দু-সপ্তাহের মধ্যে রাজৌরি জেলাতেই দুটি হামলার ঘটনা ঘটল এবং সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হল। পর পর হামলার ঘটনায় আতঙ্কে রাজৌরির মানুষ।
ডাঙরির গ্রাম প্রধান এই হামলার জন্য সরাসরি প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, খবর থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত নজরদারি চালায়নি প্রশাসন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও গাফিলতি ছিল। অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার দাবিতে সোমবার এলাকায় বনধ ডেকেছে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন। বনধের সমর্থন করেছে বিজেপি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাজৌরি জেলাতেই সেনা ক্যাম্পের বাইরে জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে ২ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার হামলাকারীদের এখনও হদিশ মেলেনি। এর মধ্যে ফের নতুন বছরের প্রথম দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল এবং সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হল।
আরও পড়ুন-নিউ ইয়ারের প্রথম দিনেই জঙ্গি হানা জম্মু-কাশ্মীরে, গুলিতে নিহত ৩