সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে বিরোধীদের আপত্তির মাঝেই বিহারে বাদ পড়ল ৬৫ লক্ষেরও বেশি নাম। শুক্রবারই এই SIR (Special Intensive Revision) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, এই ৬৫ লক্ষ বাদ পড়া নামের মধ্যে রয়েছে মৃত, স্থানান্তরিত এবং একাধিক ঠিকানার ভোটাররা। বিহারের পর কি এবার বাংলার পালা?
হিসেব বলছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ভোটার তালিকায় প্রায় ৭ কোটি ৯০ লক্ষ নাম ছিল। SIR-এর পর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ২৪ লক্ষ। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে, বিহারের সমস্ত জেলার মধ্যে SIR-এ সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে রাজধানী শহর পটনা থেকে। সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার। এছাড়াও মধুবনীতে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার, পূর্ব চম্পারণে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার এবং গোপালগঞ্জে ৩ লক্ষ ১০ হাজার নাম বাদ পড়েছে। হিসেব বলছে, বাদ পড়া নামের মধ্যে ২২ লক্ষ ৩৪ হাজার ‘মৃত’, ৩৬ লক্ষ ২৮ হাজার ‘স্থায়ী ভাবে বিহারের বাইরে স্থানান্তরিত’ এবং ৭ লক্ষ ১ হাজার ‘একাধিক ঠিকানায় নথিভুক্ত’।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি মতো শুক্রবার বিহারের ৩৮টি জেলার ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক দলগুলির হাতে তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের ৯০৮১৭টি বুথের পরিসংখ্যান রয়েছে ওই তালিকায়।
জনসাধারণের জন্য ওই তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিহারে এই রিপোর্ট প্রকাশের পরই BJP-র দাবি, তালিকা থেকে নিষ্কাশিতরা ‘ভুয়ো ভোটার’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সারা দেশেই এই SIR হবে। এদিকে, বিহারের পরই ২০২৬-এর শুরুতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। ফলে এ রাজ্যেও যে SIR তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাড়ছে কমিশনের তৎপরতা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তৃণমূল ও BJP-র পারস্পরিক বাগযুদ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন SIR নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না।