বলা হয় যে পৃথিবীতে একই চেহারার অনেকেই থাকেন। দুটি মানুষের চেহারার মধ্যে এমন মিল থাকে, যাতে দুজনকে আলাদা করা, এক ঝলকে মুশকিল হয়ে পড়ে। এটা শুনতে অবাক লাগলেও তা যে কখনও কখনও সত্যি হয়, তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
এমনই মজাদার ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবের জলন্ধরের পুলিশ ডিএভি স্কুলে। এখানে এমন একটি নয় বরং এ রকম অনেক ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে, যাদের চেহারা একজন আরেকজনের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। এই স্কুলে প্রায় ৭৬ জোড়া এমন ছাত্র আছে, যাদের চেহারা একজনের সঙ্গে আরেকজন হুবহু একই।
এই স্কুলে এমন বেশ কিছু ছাত্র রয়েছে যাদের মধ্যে পার্থক্য করা, রোজ যাঁরা তাদের দেখেন, তাঁদের পক্ষেও প্রায় অসম্ভব। এখানে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এমন রয়েছে, যার চেহারা শুধু একই রকম বলে অনেকেই তাদের গুলিয়ে ফেলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিজেদের কাহিনী জানিয়েছেন, কীভাবে একজনের ভুলের জন্য আরেকজন, শিক্ষকের কাছে বকা খেয়েছেন এবং শাস্তিও পেয়েছেন।
স্কুলের প্রিন্সিপাল রশমি ভিজ জানিয়েছেন, যে যখন তারা জানতে পারেন যে, তাদের স্কুলে সত্তরের বেশি এমন বাচ্চা রয়েছে যাদের চেহারা একজন আরেকজনের সঙ্গে প্রায় হুবহু মেলে, তখন তাঁরা অবাক হয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন যে, "এখন এই বিষয়টি নিয়ে তাদের স্কুলের নাম, লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নথিবদ্ধ করার জন্য পাঠাবেন।" তিনি এটাও জানান যে তিনি একাধিকবার শিক্ষকদের কাছ থেকেও এই অভিযোগ পেয়েছেন যে তাঁরা কিছু বাচ্চাকে বকাঝকা করেছিলেন, কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন, যে বাচ্চাকে তাঁরা বকেছেন, আসলে সে বা তাঁরা অভিযুক্ত ছাত্র বা ছাত্রীর জমজ ভাই বা বোন।