৭৫ বছর বয়সী ব্যক্তি বিয়ে করলেন ৩৫-এর যুবতীকে। আর দুর্ভাগ্যক্রমে, বিয়ের পরের দিন সকালেই প্রাণ হারালেন সেই বৃদ্ধ। এমন ঘটনাকে ঘিরেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে বৃদ্ধের পরিবারের মনে। তাঁরা চাইছেন তদন্ত।
এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটছে উত্তরপ্রদেশের কুছমুখ গ্রামে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। মৃতের পরিবার এই মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করছে। যার ফলে মৃতের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, মৃত ব্যক্তির নাম সঙ্গরু রাম। তিনি পেশায় কৃষক। ১ বছর আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে একাই থাকছিলেন ব্যক্তি। তাঁর ভাই এবং ভাইপো বর্তমানে দিল্লিতে থাকেন। তাঁরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
তাঁদের প্রথম থেকেই এই বিয়েতে মত ছিল না বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা বৃদ্ধকে বিয়ে করতে বারণও করেছিলেন। যদিও তাঁদের ডাকে সাড়া দেননি বৃদ্ধ। তিনি সোমবার ৩৫ বছর বয়সী মানবতীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাঁরা প্রথমে আদালতে বিয়ে সারেন। তার পর মন্দিরে গিয়ে ছোট্ট করে বিয়ে সেরে নেন। আর পরের দিন সকালেই প্রাণ হারান বৃদ্ধ। আর এই ঘটনা নিয়ে দেখা গিয়েছে চাঞ্চল্য। একটা অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছেন গ্রামবাসী থেকে পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, বৃদ্ধের পাশাপাশি যুবতীরও এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁর একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে বর্তমান। সেই ছেলে-মেয়ের দায়িত্ব বৃদ্ধ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এমনটাই দাবি সেই মহিলার। এছাড়া তাঁকে সাধারণ সংসারের কাজ করতে বলা হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
সেই মহিলার কথায়, 'বিয়ের দিন আমরা গভীর রাত অবধি কথা বলেছি। সকালে হঠাৎই শরীর খারাপ হয়।' তার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াসা।
এই মৃত্যুর পর থেকেই অবশ্য সঙ্গরুর আত্মীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তার ভাই এবং ভাইপো এখনও গ্রামে পৌঁছাননি। কিন্তু তাঁরা এই মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন। যার ফলে এখনও করা হয়নি মৃত্যের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া।
যদিও এই মৃত্য নিয়ে পুলিশ কোনও তদন্ত করবে কি না বা মৃত্যের ময়নাতদন্ত হবে কি না, সেই সম্পর্কে কোনও খবরই নেই। কিন্তু পরিবারের তরফে তদন্তের কথা বলা হচ্ছে। এখন দেখার পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে গড়ায়!