১৪ মার্চ দিল্লির তুঘলক রোডে অবস্থিত বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভানোর সময় বাড়ির স্টোররুমে বিপুল পরিমাণ নগদ নোটের বান্ডিল পাওয়া যায়, যার মধ্যে অনেক নোট আধপোড়া ছিল।
নোটের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার:
রবিবার, এনডিএমসি টিম এলাকাটি পরিষ্কার করতে গেলে বিচারপতি ভার্মার বাড়ির বাইরে অর্ধ-পোড়া নোটের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ৫০০ টাকার নোটও ছিল, যা নগদ কেলেঙ্কারির সন্দেহকে আরও জোরালো করে।
দিল্লি ফায়ার ব্রিগেডের প্রধানের বক্তব্য:
দিল্লি ফায়ার ব্রিগেডের প্রধান অতুল গর্গ জানান, অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল। তবে, তিনি দাবি করেন যে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে কোনও নগদ অর্থ খুঁজে পাননি।
সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ:
সুপ্রিম কোর্ট এই নগদ কেলেঙ্কারির বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং ২৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বিচারপতি ভার্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া পোড়া নোটের ছবি ও ভিডিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিচারপতি ভার্মার প্রতিক্রিয়া:
বিচারপতি ভার্মা এই অভিযোগকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, তার বাড়িতে নগদ অর্থ পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তাকে ফাঁসানোর জন্য এটি করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠন:
সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যা পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির প্রস্তাব:
বিচারপতি ভার্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আইনি মহলের প্রতিক্রিয়া:
এলাহাবাদ হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনিল তিওয়ারি এই ঘটনাকে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করার হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন।
সিবিআই বা ইডির তদন্তের দাবি:
অনিল তিওয়ারি দাবি করেছেন যে বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত অভ্যন্তরীণ কমিটির মাধ্যমে না হয়ে সিবিআই বা ইডির মতো স্বাধীন সংস্থা দ্বারা করা উচিত।
প্রশ্নবিদ্ধ বিচারব্যবস্থা:
এই নগদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিচারপতি ভার্মার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, বিচারপতিদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি, নচেৎ জনগণের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হ্রাস পাবে।