Advertisement

AAP MLA: গুলি চালাতে চালাতে লক-আপ থেকে পালাল বিধায়ক, দেশজুড়ে শোরগোল

পুলিশের লক-আপ থেকে চম্পট দিলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত আপ বিধায়ক। জানা গিয়েছে, বন্দুক ছিনিয়ে পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে স্করপিও গাড়ি নিয়ে পালিয়েছেন হরমীত সিং ধিলোঁ পাঠানমাজরা।

Aajtak Bangla
  • কার্নাল ,
  • 02 Sep 2025,
  • अपडेटेड 12:21 PM IST
  • লকআপ থেকে চম্পট ধর্ষণে অভিযুক্ত আপ বিধায়ক
  • পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে পালালেন হরমীত সিং ধিলোঁ পাঠাবমাজরা
  • তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, বিবাহিত হয়েও আর একটি বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে

ধর্ষণ এবং প্রতারণার মামলায় পুলিশি হেফাজতে ছিলেন আপ বিধায়ক হরমীত সিং ধিলোঁ পাঠানমাজরা। মঙ্গলবার সকালে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধালেন তিনি। লক-আপ থেকে পুলিশের উপর গুলি চালাতে চালাতে চম্পট দিলেন থানা থেকে।

পঞ্জাবের কর্নাল পুলিশ জানিয়েছে, পাটিয়ালার সানৌর এলাকার বিধায়ক হরমীত। তাঁকে গ্রেফতার করার পর স্থানীয় থানার লকআপে ঢোকানো হয়। কিন্তু আচমকাই পুলিশের থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয় গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পুলিশকর্মীরা। এরপর একটি স্করপিও গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন আপ বিধায়ক। 

হরমীত সিং ধিলোঁ পাঠানমাজরার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কার্নাল পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে গাড়িতে তিনি পালিয়েছিলেন, সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বিধায়কের কোনও হদিশ মেলেনি এখনও। 

জিরাকপুরের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের হয়েছিল পঞ্জাবের এই আপ বিধায়কের নামে। মহিলার অভিযোগ ছিল, নিজেকে বিবাহবিচ্ছিন্ন দাবি করে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন হরমীত। ২০২১ সালে তাঁদের বিয়েও হয়। এরপর থেকেই যৌন নির্যাতন শুরু করেন আপ বিধায়ক। ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হত বলেই দাবি করেন ওই মহিলা। ধর্ষণ, দুর্নীতি এবং প্রতারণার অভিযোগে FIR দায়ের হয় হরমীতের বিরুদ্ধে। 

যদিও হরমীতের দাবি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। FIR এর পর একটি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন পঞ্জাবের এই আপ বিধায়ক। সেখানে তিনি বলেছিলেন, 'দিল্লির আপ শীর্ষনেতারা জোর করে পঞ্জাবের বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। ওরা আমার বিরুদ্ধে FIR করাতে পারেন, আমি জেলে চলে যাব, তবে আমার কণ্ঠস্বর দমন করতে পারবে না।' বিধায়কের আইনজীবী সিমরনজিৎ সিং সাগ্গু জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকলেও মহিলার সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো।

পাটিয়ালায় বন্যা কবলিত এলাকার ত্রাণ সংক্রান্ত বরাদ্দ নিয়ে পঞ্জাব সরকারের সঙ্গেই মতানৈক্য তৈরি হয় এই বিধায়কের। টাংরি নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করে গ্রাম ভাসিয়ে দিচ্ছে, তাঁর এই বক্তব্যে কর্ণপাত করেনি সরকার। এমনটাই অভিযোগ হরমীতের। জোর করে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি। 

Advertisement

 

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement